বিমান বাহিনী প্রধানের চীন সফর সম্প্রসারিত করবে পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা

প্রকাশিতঃ 9:32 pm | November 08, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

চায়না ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশন। পরিচিত এয়ারশো চায়না বা ঝুহাই এয়ারশো নামে। প্রায় ২৮ বছর যাবত জাঁকজমকপূর্ণ এই এয়ারশো নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই মহাকাশ প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনী প্রধানরা উপস্থিত হবেন। অন্যতম বড় এই প্রদর্শনী উপভোগ করবেন দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীরাও। কমান্ডার অব দ্য চাইনিজ পিএলএ এয়ারফোর্সের নিমন্ত্রণে এই মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) চীন সফরে ঢাকা ছেড়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। সরকারি এই সফরে আগামী শনিবার (০৯ নভেম্বর) থেকে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তিনি চীনে অবস্থান করবেন। আগামী শনিবার (১৬ নভেম্বর) তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

জানা যায়, সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক আকাশযানের অন্যতম বড় প্রদর্শনী হচ্ছে এয়ারশো চায়না বা ঝুহাই এয়ারশো। আকাশ, মহাকাশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনী প্রধানরা প্রতিবার এমন মহাআয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। নানাবিধ আকাশযানের মনোজ্ঞ মহড়া ও চিত্তাকর্ষক অ্যারোবেটিক এবারও মুগ্ধতা ছড়াবে সেখানে। বিস্ময়কর প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনের চমকপ্রদ গল্পও থাকবে বিশেষজ্ঞ বক্তাদের কণ্ঠে।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এই সফরকালে বিমান বাহিনী প্রধান চীনে অনুষ্ঠিতব্য চায়না ইন্টারন্যাশনাল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশন ও এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও বিমান বাহিনী প্রধান চাইনিজ পিএলএ এয়ারফোর্সের বিভিন্ন ইউনিট ও কলেজ এবং চায়না ন্যাশনাল অ্যারো-টেকনোলজি ইনপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করবেন।

সূত্র জানায়, প্রায় ৪৯ বছর আগে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনী তথা বিমান বাহিনী একে অপরের পাশে থেকে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এর চীন সফরের মধ্যে দিয়ে উভয় দেশের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এটি পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধিকেও সম্প্রসারিত করবে বলে মনে করছে আইএসপিআর।

কালের আলো/এমএএএমকে