‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড; সমন্বিত পদক্ষেপে বড় ক্ষতি ও বহু প্রাণক্ষয় থেকে রক্ষা

প্রকাশিতঃ 11:16 pm | October 06, 2024

কালের আলো রিপোর্ট:

৩৮ বছরের দীর্ঘ এক জার্নির সমাপ্তি। আগেই জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন জাহাজ ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ও ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের দুই জাহাজ থেকে জ্বালানী তেল পরিবহন কার্যক্রমের ইতি ঘটার কথা। কিন্তু চার দিনের ব্যবধানে আগুনে পুড়েছে ক্রুড অয়েল বহনকারী অয়েল ট্যাংকার দুটি। শেষ ট্রিপে জ্বালানী তেল খালাস করতে গিয়ে দু’দফায় প্রাণ গেছে চারজনের। এসব প্রাণহানিকে দু:খজনক বলেছেন নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তবে আশার কথা হচ্ছে- অগ্নিকাণ্ডের পরেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুদক্ষ নেতৃত্বে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তড়িৎ উদ্ধার কার্যক্রম সফল হওয়ায় বহু প্রাণক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। আতঙ্কের সেই রাতে প্রায় চার ঘণ্টার প্রাণান্তকর চেষ্টায় নৌবাহিনীর ৩টি বিশেষায়িত টাগশীপ এবং কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪টি টাগশীপের সমন্বয়ে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

  • সার্বক্ষণিক মনিটর করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
  • নৌবাহিনী প্রধানের নির্দেশে বাহিনীটির সুদক্ষ নেতৃত্বে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দক্ষতার প্রশংসা
  • নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে থাকছেন বিশেষজ্ঞরা
  • মেরিটাইম সেক্টরে নৌবাহিনীর দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তাদের পদায়নের সুফল
  • বিএসসিতে আরও বড় হবে জাহাজের বহর

৪৮ নাবিকের মধ্যে ৪৭ জনকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুন থেকে বাঁচতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে আহত হন সাদেক মিয়া (৬০)। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আহত কয়েকজনকে নৌবাহিনী হাসপাতাল বানৌজা পতেঙ্গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। দেশের জ্বালানি তেলের সরবরাহ লাইন ধ্বংস করতেই পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে কীনা এই সন্দেহে শুরু হয়েছে তদন্ত। নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন রবিবার (০৬ অক্টোবর) বিএসসি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন,- ‘পর পর বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) দুটি জাহাজ দুর্ঘটনার পর সন্দেহ যাতে দূর হয় বা প্রকৃত ঘটনা বের করে আনার জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের পৃথক তদন্ত কমিটি করা হবে। ১০ সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। তারা এখানে আসবেন, তদন্ত শুরু হবে, জাহাজগুলো দেখবেন। সন্দেহজনক কিছু আছে কি না- কী হয়েছে সে বিষয়ে অনুমানভিত্তিক কথা বলতে চাই না। আপনারা অনুসন্ধান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অনুসন্ধান রিপোর্ট হাতে পেলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) সরকারিভাবে যে জ্বালানি তেল আনে, তা কুতুবদিয়া সাগর এলাকা থেকে পতেঙ্গা ডিপো পর্যন্ত পৌঁছতে ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজ দুটি ব্যবহৃত হতো। ডেনমার্কে তৈরি এই দু’টি অয়েল ট্যাংকারে শেষবারের মতো তেল খালাস শেষ হলেই দায়িত্ব থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই আগুনে পুড়ে গেছে জাহাজ দু’টি। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে নোঙর করা অবস্থায় দিনের আলোয় প্রথমে বিস্ফোরণ ও পরে অগ্নিকাণ্ডের মুখে পড়ে ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’। আর গত শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) রাত ১২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা অবস্থায় রহস্যময় আগুনে পুড়ে শেষ হয় ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ এর যাত্রা।

বাংলার জ্যোতি এবং বাংলার সৌরভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বর্তমানে বিপিসির মালিকানায় ৩টি অয়েল ট্যাংকারসহ ৫টি জাহাজ রয়েছে। বিএসসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেছেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা জাহাজের চারটি পয়েন্ট সিকুয়েন্সলি ফায়ার হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, এটি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। আর এটা মাথায় রেখেই তদন্ত শুরু হয়েছে।’

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দক্ষতার প্রশংসা
‘এমটি বাংলার সৌরভ’ এ অগ্নিকাণ্ডের খবরটি জানার পরই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি রাতভর পুরো বিষয়টি মনিটর করেন। একই সঙ্গে সম্ভাব্য বড় প্রাণহানি রোধে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। তিনি ভোর ৫টায় উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং নিজেদের সম্পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়টি অবহিত করেন।

জানা যায়, নৌবাহিনী প্রধানের নির্দেশে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবালসহ চট্টগ্রামের নৌবাহিনী কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। শুরু হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের আগুন নিয়ন্ত্রণের সম্মিলিত প্রয়াস। উদ্ধারকারী দল আগুন নেভানোর পাশাপাশি আটকে পড়া নাবিকদের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় সময়ের ব্যবধানে একে একে উদ্ধার করা হয় ৪৭ নাবিককে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একাধিক বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ক্ষমতা সম্পন্ন টাগশীপের সঙ্গে যুক্ত হয় কোস্টগার্ড ও চট্টগ্রাম বন্দরের একাধিক টাগশীপসহ ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল। জীবনবাজি রেখে তাদের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে মিলেছে প্রশংসা।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ডলফিন জেটিতে অবস্থানরত ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও বড় ধরনের বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হওয়ায় বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ। দুর্ঘটনাস্থলের একেবারেই কাছাকাছি ছিল রাষ্ট্রীয় তেল বিপণনকারী সংস্থা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি ও চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত বিমানবন্দর। ওইদিন বিস্ফোরণ ঘটলে স্থবিরতা নেমে আসতো দেশের প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রমে। বাংলার জ্যোতি জাহাজে ১১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন এবং বাংলার সৌরভ জাহাজে ১১ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল থাকায় বিপুল পরিমাণ এই তেল পানিতে ছড়িয়ে পড়লে হুমকির মুখে পড়তো কর্ণফুলী নদীসহ বঙ্গোপসাগরে জীব বৈচিত্র্য। শুধু তাই নয়, বিশাল আকারের এই জাহাজ দুটি বিস্ফোরণে ডুবে গেলে বন্ধ হয়ে যেত চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ আসা-যাওয়া। স্থবির হয়ে পড়তো দেশের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। নৌবাহিনী সফলভাবে অগ্নিনির্বাপণ করতে সক্ষম হওয়ায় দেশের অর্থনীতি বড় ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেয়েছে।

মেরিটাইম সেক্টরে নৌবাহিনীর দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তাদের পদায়নের সুফল
মেরিটাইম সেক্টর তথা সমুদ্র সম্পদ প্রতিনিয়ত সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। সুনীল অর্থনীতির পথ দেখাচ্ছে অফুরান সম্ভাবনার। এই সেক্টরকে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে রূপ দিতে সরকারের নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশপ্রেমী বাংলাদেশ নৌবাহিনী। জাহাজ নির্মাণ শিল্প এখন বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পখাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। মেরিটাইম খাতের গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখেই নৌবাহিনীর দক্ষ ও চৌকস উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সেখানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে কার্যকর অবদান রাখছেন প্রতিনিয়ত। গত শুক্রবার রাতে ‘এমটি বাংলার সৌরভ’এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বড় রকমের প্রাণহানি ও বিপর্যয় প্রতিরোধে তাদের দক্ষ নেতৃত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার বিষয়টি আরও একবার মোটা দাগে প্রমাণিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্ভাব্য অচলাবস্থার হুমকির বৃত্ত থেকে বের করে এনে পুরোমাত্রায় সচল রেখে এই প্রাজ্ঞ কর্মকর্তারা পুনরায় জানান দিয়েছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের যেকোনো বিপর্যয় মোকাবেলায় আস্থা ও সফলতার সঙ্গে সব সময় তাঁর দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ ধরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইএসপিআর।

বিএসসিতে জাহাজের বহর আরও বড় হবে
নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামে বিএসসির কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘জাহাজে আগুন লেগেছে, তাই কিছু সেফটির বিষয় দেখতে হবে। এরপর বাংলার সৌরভ থেকে অপরিশোধিত তেল স্থানান্তর করা হবে। বিপিসিকেও বলেছি, টার্মিনালের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘গত শুক্রবার সাড়ে ১২টার সময় বাংলার সৌরভে দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে এমডি আমাকে জানিয়েছেন। প্রতিটি মুহূর্তে কী হচ্ছে জানতে পারছিলাম। বিএসসি থেকে তদন্ত করতে বলেছি। জাহাজের ইনস্যুরেন্সের বিষয় আছে। তারপর একজন মারা গেছেন। তিনি আগুনে পুড়ে মারা যাননি। পানি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর উদ্ধার করা হলেও ট্রমার কারণে মারা গেছেন। দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে চার জন মারা গেছেন। যেকোনও প্রাণহানি দুঃখজনক।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলার সৌরভ জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের পর ইস্টার্ন রিফাইনারির তেল লাইটারিংয়ের জন্য বিএসসির এমডি তাৎক্ষণিক জাহাজ ভাড়া করেছেন। ঘটনা ঘটার আগেই এমডি বলেছিলেন, বাংলার সৌরভের শেষ ট্রিপ বা সেবা ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ঘটনা ঘটে গেছে। আমার ভয় ছিল, তেল ব্লাস্ট হলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেত। নেভি, কোস্টগার্ড, পোর্ট অথরিটি দ্রুত সময়ে গিয়ে এ আগুন নিভিয়েছে। নেভাল চিফ ভোর ৫টায় রিং করে জানিয়েছেন সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছেন। নেভাল কমান্ডার, বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা হয়েছে। সাড়ে ৪টায় আমাকে বলেছেন, সবাইকে রেসকিউ করা হয়েছে। এত বড় দুর্ঘটনা, অনেক কিছু হতে পারতো। বিএসসির লোকজন বলেছে, এক হয়ে কাজ করবে। ওনাদের প্ল্যান ও আমার ইচ্ছে, বিদেশি যারা আসবে তাদের বলবো, জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করো। কিছু দিন আগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলেছি, পাট ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করতে।’

চীন থেকে ছয়টি জাহাজের পরিবর্তে চারটি জাহাজ সংগ্রহে অর্থের নয়-ছয় হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে এম সাখাওয়াত বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি টিম কাজ করছে, দাম নির্ধারণের জন্য। আমরা দাম কমানোর চেষ্টা করছি। কে টাকা নিয়ে গেলো তা বের করা মুশকিল। কাউকে টাকা দিয়ে থাকলে কীভাবে বের করবো! ডলার ছিল ৯০ টাকা। তদন্ত হবে। প্রকল্প বন্ধ থাকলে জাহাজ তো পাবো না। এ মন্ত্রণালয়ে অনেক প্রকল্প হচ্ছে। এ প্রকল্প এখন বন্ধ করে দিলে যে টাকা অপচয় হয়েছে- তা আপনার, আমার। গলায় কাঁটা লেগেছে, গিলতে হবে। আমি তো বলেছি, চুরির মহাসমুদ্র না, প্রশান্ত মহাসাগর। আমাদের কাছে যে ডকুমেন্ট আছে তা দুদকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুদক তদন্ত করবে।’

বিএসসিতে জাহাজের বহর বাড়ানো হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএসসির দুটি জাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর বর্তমানে বহরে জাহাজ আছে মাত্র পাঁচটি। এ পাঁচটি জাহাজে প্রচুর লাভ করছে। একটিও বাংলাদেশে নেই। জ্যামাইকাসহ বিভিন্ন দেশে এসব জাহাজ আছে। বিএসসিতে জাহাজের বহর আরও বড় হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা যতদিন আছি, একটা কাজ করতে পারি সেটা হচ্ছে, দুর্নীতি কমানো।’

কালের আলো/এমএএএমকে