সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ, সংবেদনশীল তথ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে গুরুত্ব বিমান বাহিনী প্রধানের
প্রকাশিতঃ 9:34 pm | October 01, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
দেশে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে নিত্যদিনের প্রযুক্তির ব্যবহার। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে অপব্যবহারের মাত্রাও। সাইবার আক্রমণের পরিমাণও নেহায়েত কম নয়। স্বভাবতই সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে সাইবার নিরাপত্তা। সাইবার বলয় তৈরি করে সাইবার সুরক্ষা দেওয়াও এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই সাইবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিতে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন করতে অক্টোবর মাসজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) কর্মসূচির প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে।
সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহারের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীও। সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে সচেতনতা বাড়াতে তাঁরা গ্রহণ করেছে সময়োপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উদ্বোধন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আর কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য এবং আলোচ্য অংশ।’ সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা সম্পর্কিত এই মাসব্যাপী কর্মসূচি বিমান বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রথমবারের মতো সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উদযাপনের সূচনা করেছে। এদিন ঢাকা সেনানিবাসে বিমান বাহিনী সদর দপ্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান সাইবার নিরাপত্তায় সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে প্রথমবারের মতো সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাসের সূচনা উদযাপন প্রত্যক্ষ করা অত্যন্ত উৎসাহজনক।
সংবেদনশীল তথ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা অপরিহার্য
সাইবার সুরক্ষার জন্য মূলত প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের সংস্কৃতি তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য জনসচেতনতা তৈরি করে ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুস্থ সাইবার সংস্কৃতি গড়ে তোলার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, ‘সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি। সাইবার হুমকি ও আক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সাথে, সংস্থা এবং ব্যক্তিদের জন্য তাদের সংবেদনশীল তথ্যগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’
বিমান বাহিনী প্রধান আরও বলেন, ‘কার্যকর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ঝুঁকি কমাতে পারি এবং সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। সাইবার নিরাপত্তা শুধুমাত্র আমাদের আইটি বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব নয়, সাইবার স্পেসে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বোত্তম সাইবার নিরাপত্তা অনুশীলনে অগ্রগামী এবং অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সাইবার ওয়ারফেয়ার এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি পরিদপ্তরের পরিচালক অনুষ্ঠানে প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিমান বাহিনী প্রধান এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সাইবার ওয়ারফেয়ার এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি পরিদপ্তরের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে উৎসাহিত করেছেন। অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর ঢাকাস্থ ঘাঁটি ও ইউনিটের নির্বাচিত কর্মকর্তা, বিমানসেনা এবং অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার বাইরের ঘাঁটিগুলোর প্রতিনিধিরা ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে