মেরিটাইম শিক্ষা ও সনদায়নের পারস্পরিক স্বীকৃতির চুক্তি স্বাক্ষরিত; ইউকে’র জাহাজে চাকরির সুযোগ পাবে বাংলাদেশি নাবিকরা

প্রকাশিতঃ 9:06 pm | September 18, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ইউনাইটেড কিংডম (ইউকে) ও বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কনভেনশনের অধীনে ‘মেরিটাইম শিক্ষা ও সনদায়নের’ পারস্পরিক স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম এবং ইউকে এর পক্ষে তাদের মেরিটাইম এন্ড কোস্টগার্ড এজেন্সির প্রধান পরীক্ষক অজিত জ্যাকব। তবে চুক্তির কপি মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন অধিদপ্তরে এসে পৌঁছায়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসটিসিডব্লিউ কনভেনশনের রেগুলেশন আই/১০ এর অধীনে মোট ২৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম ও সিঙ্গাপুর। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি নাবিক তথা সিফেয়ারারদের মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশ বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজে চাকরি করছে। তাই বাংলাদেশি সিফেয়ারারদের চাকরির বাজার সম্প্রসারণের জন্য বড় ও নামকরা মেরিটাইম দেশগুলোর স্বীকৃতি একান্ত প্রয়োজন।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, আইএমও এর সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত এবং ইউকে এর মেরিটাইম শিক্ষা এবং সনদায়ন আন্তর্জাতিক মানসম্মত এবং ঐতিহ্যের ধারক। ফলে অনেক বাংলাদেশি সিফেয়ারাই ইউকে থেকে প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে এবং যাতে  প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বাংলাদেশকে প্রদত্ত এই স্বীকৃতির মাধ্যমে এই প্রবণতা কমে আসবে।

তিনি বলেন, এই স্বীকৃতির ফলে ইউকে এর জাহাজগুলোতে বাংলাদেশি নাবিকরা অবাধে চাকরি করার সুযোগ পাবে। প্রকারান্তরে এর মাধ্যমে আরও অনেক বাংলাদেশি সিফেয়ারারদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশে আইএমও এর ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। মেরিটাইম শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ ও সনদায়ন তাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আইএমও কাউন্সিলে নির্বাচিত হওয়া, এমভি আব্দুল্লাহ জলদস্যু থেকে মুক্তির পাশাপাশি এই স্বীকৃতি ও চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারের আরও একটি সাফল্য অর্জিত হলো।

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ