চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪ শতাংশ

প্রকাশিতঃ 7:04 pm | September 08, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো: 

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে।

এ কারণে রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না বরং বেশি হবে। একইসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা। এছাড়া আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর ১৪৬তম বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের ৫৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

আপনারা কী এ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, রপ্তানি নিয়ে কিছু কিছু তথ্যগত ইস্যু ছিল। আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করেছি।

যারা যারা তথ্য সংগ্রহ করে, আমরা সবগুলো চালু রাখবো। আমরা সবগুলো সমন্বয় করে সত্য চিত্র দেব। এক একজন এক এক রকম তথ্য দেবে, সেটা হবে না। কিছুটা পার্থক্য থাকে, এটা স্বীকার করতে হবে। বিরাট অসংগতি দূর করা হবে।

তিনি বলেন, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হবে যুক্তি সংগত। বিভিন্ন কম্পোনেন্ট আছে রপ্তানির এগুলো দেখবো। বিভিন্ন পণ্য আছে ওগুলো দেখবো। আর রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে রেগুলেটরি, ট্যাক্স সংক্রান্ত সেগুলো আমরা রিভিউ করবো। রপ্তানি যেন ডাইভারসিফাইড (বহুমুখীকরণ) করা হয়, সেটা আমাদের লক্ষ্য।

রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে আপনাদের প্রজেকশন কী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রিয়েলাইজড করেছি এটা (রপ্তানি প্রবৃদ্ধি) মোটামুটি ভালো হবে। অবস্থার প্রেক্ষিতটা চেঞ্জ হয়েছে, অতএব আগের থেকে কমবে না, আগের থেকে বেশি হবে।

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কত হতে পারে- জানতে চাইলে সাহেলউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।

এবার আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, জিএসপি সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে তাদের বলা হয়েছে। আমরা আবার চেষ্টা করবো। আমেরিকা আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে সবদিক থেকে। অতএব জিএসপিটা পজেটিভ। আমরা অন্যদের সঙ্গে আলাপ করছি রপ্তানির বিষয়ে।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ