চলে গেলেন চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মুহম্মদ খসরু

প্রকাশিতঃ 5:38 pm | February 19, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মুহম্মদ খসরু আর নেই। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে সম্প্রতি বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খসরু। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিক, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার নিউমোনিয়া ধরা পরে।

আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মুহম্মদ খসরুর মরদেহ নেয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে।

তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে দুপুর একটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে।

মুহম্মদ খসরুকে তার গ্রাম কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরের মোহনপুরে দাফন করা হবে।

মুহম্মদ খসরু ভারতের হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরের মোহনপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

মুহম্মদ খসরু চলচ্চিত্র বিষয়ক কালজয়ী পত্রিকা ‘ধ্রুপদি’ সম্পাদনা করতেন। তার উদ্যোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিল্ম স্টাডি সেন্টার।

মুহম্মদ খসরু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

১৯৬৩ সালে ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম মুহম্মদ খসরু।

১৯৭৫ সালে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ‘পালঙ্ক’ ছবিটি নির্মাণের সময় মুহম্মদ খসরু ভারতীয় চলচ্চিত্রকার রাজেন তরফদারের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশে দীর্ঘ ৫০ বছর নিরবচ্ছিন্ন অবদানের জন্য মুহম্মদ খসরু ‘হীরালাল সেন’ আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী পদক’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র সংসদ থেকে আজীবন সম্মাননা-২০১৭ দেওয়া হয় তাকে।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email