মনোনয়ন পেলে উন্নয়ন ও জনকল্যাণে ভূমিকা রাখতে চান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

প্রকাশিতঃ 12:07 pm | February 12, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:

চুয়াডাঙ্গা-১ (সদর ও আলমডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে আঞ্চলিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে ভূমিকা রাখতে চান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী, দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

স্থানীয় ভোটারদের প্রত্যাশাকে ধারণ করে এ আসনটিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন যাবত মাঠে সক্রিয় রয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির এ সাধারণ সম্পাদক। সংগ্রামী, স্বপ্নবাজ ও দৃঢ় আত্নপ্রত্যয়ী এ নতুন মুখকে ঘিরে স্থানীয় জনসাধারণ তো বটেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝেও ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

পারিবারিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা-আকাঙ্খারও মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া স্বাধীনতার পর চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী জিততে পারেনি। মূলত এর জন্য দায়ী দলটির সাংগঠনিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা। গত দু’টি সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে এখানে জয়ী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে এখানে নেতৃত্বের নতুন মেরুকরণ হয়েছে। কেননা বছরের পর বছর চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এখানকার সব ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নি:স্বার্থ জনসেবায় স্থানীয় জনসাধারণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদে গতিশীল নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে সুনাম কুড়িয়েছেন। এটাই স্থানীয় জনসাধারণের কাছে তার নেতৃত্বের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। স্থানীয় জনসাধারণও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে রয়েছে। তাদের জন্য দরকার গতিশীল নেতৃত্ব। আমি মনে করে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবো। তাদের সঙ্গে নিয়েই এখানে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব।

আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে আছেন জানিয়ে দিলীপ কুমার বলেন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা পরিবর্তনের পক্ষে। তাঁরা তরুণ নেতৃত্ব অনুভব করছে। নিজ এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতেই নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইছেন।

আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নিজ এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জেলায় কৃষি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে চান দেশের ব্যবসায়ীদের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত এ এফবিসিসিআই পরিচালক। তিনি বলেন, সর্বস্তরে কৃষি উপকরণ বিতরণের ব্যবস্থা এবং কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

আক্ষেপ করে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বেশিরভাগ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। আসনসংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েন ঢাকামুখী মানুষ। যাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে খুলনা ও যশোর থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা রুটে ৪টি ট্রেন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প দারিদ্র্য দূরীকরণ, দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা হবে তাঁর প্রথম কাজ। সুযোগ পেলে আমার এলাকাতেও সেই রূপকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। এ চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়েই দলীয় মনোনয়নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি।

নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় নিজের হতাশার কথা জানান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। বনেদী পরিবারে বেড়ে উঠা দেশের এ শীর্ষ ব্যবসায়ী আবার একই সঙ্গে স্বপ্নিল ভোরেরও স্বপ্ন বুনেন।

 

কালের আলো/পিএ

Print Friendly, PDF & Email