নাগরিক জীবনের সর্বত্রই পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিতঃ 4:17 pm | April 25, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রেই পুলিশের অবস্থান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, পুলিশ যেমন প্রয়োজন জীবন বাঁচাতে, ঠিক তেমনি সংস্কৃতির প্রয়োজন হয় জীবন সাজাতে। জীবন বাঁচাতে ও জীবন সাজাতে সবক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান, সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আজকে আমাদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপির কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুই লক্ষেরও বেশি পুলিশ সদস্য দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমি গর্বের সাথে বলতে চাই বাংলাদেশ পুলিশের সেবা কেবল আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেটি তারা দেখিয়েছে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে, ২০১৩ সালে ও পরবর্তীতে করোনাকালে। বর্তমানে হিটওয়েভসহ যেকোন দুর্যোগে জীবন বাজি রেখে জনসাধারণের সেবা প্রদান করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি তারা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশ পুলিশ সেই পুলিশে পরিণত হয়েছে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের সভাপতি ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ শুরু হয়েছে।

প্রথম দিন নজরুল সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন একুশে পদকে ভূষিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নজরুল সঙ্গীত শিল্পী শাহীন সামাদ, বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী এবং নজরুল গবেষক সুজিত মোস্তফা ও প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার।

বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের লক্ষাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বাছাইকৃত ১৫৫ জন প্রতিযোগী ১০টি ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষ হবে শনিবার। প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল আরটিভি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উৎসাহিত করার জন্য ১৯৮৬ সালে তৎকালীন ইন্সপেক্টর জেনারেল এ আর খন্দকার ১০ জন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সাংস্কৃতিক পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক, বিপিএম, পিপিএম ও উপ-পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান (হেডকোয়ার্টার্স) (বর্তমানে ডিএমপি কমিশনার) থাকাকালীন বাংলাদেশ পুলিশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ হিসেবে নামকরন করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব নামকরণ করা হয়।

পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সুকুমার মনোবৃত্তি ও সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের সংগঠন হলো বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব। সর্বমোট ৮০ জন শিল্পী ও কলাকুশলী এই ক্লাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এ সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন নাটক ও নাচ-গানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।

কালের আলো/এসবি/এমএম