দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:44 pm | March 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স চালু হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্মার্ট পুলিশ গড়ে তুলতে পুলিশ স্টাফ কলেজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনফারেন্স রুমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্সের ১ম ব্যাচের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রসার ও বিকাশ ঘটছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তি নির্ভর পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা এখন সময়ে দাবি।‌ মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন এ কোর্স সম্পন্নকারী পুলিশ কর্মকর্তাগণ সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

চাঁদাবাজির চাইতে বেশি মুনাফার কারণে পণ্যের দাম বাড়ে
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার চিন্তাভাবনার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। তবে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাঁদাবাজির চাইতে বেশি প্রভাব পড়ে এই ক্ষেত্রে অর্থাৎ অধিকতর মুনাফার চিন্তাভাবনা করা। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদাবাজি দেওয়া লাগে, সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইওয়েতে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়কে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

নিত্যপণ্যে যারা অতি মুনাফা করে দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন, জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করছে। যখনই নজরে আসে তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি বলেন, যারা অধিক মুনফা করছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পাড়ায়-মহল্লায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হলে অধিক মুনাফা রোধ করা সম্ভব হবে।

পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসানসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপি, পুলিশ স্টাফ কলেজের ফ্যাকাল্টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, বর্তমানে অপরাধের ধরনে নানা পরিবর্তন এসেছে। সাইবার অপরাধ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ পুলিশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ কোর্সের লক্ষ্যে গুরুত্ব রয়েছে।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সাইবার অপরাধ মোকাবেলা এখন বিশ্বব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এর রেক্টর মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের এ্যাপেক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পিএসসি ইনস্টিটিউট সময় উপযোগী ও যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্সটি সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দশ মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম