পুলিশের ‌‘লাঠিপেটা’য় পণ্ড গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি

প্রকাশিতঃ 4:45 pm | February 28, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ‘ব্যাংক লোপাট’ ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পণ্ড হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মঞ্চের কর্মীরা ব্যারিকেডের ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে এ ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঞ্চের নেতাকর্মীরা এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন। জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়েন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ্ আলম সাংবাদিকদের বলেন, উনাদের কর্মসূচি ছিল। এখানে এসে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে কেপিআই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।

এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান শাহ আলম। তবে ঠিক কতজন আটক হয়েছেন, বা তাদের নাম পরিচয় কী, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু তিনি বলতে পারেননি।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার দেশের ভবিষ্যৎ বিদেশে নষ্ট করছে। জনগণকে ঠিক করতে হবে এ সরকার থাকবে কি থাকবে না। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে বিদায় করে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যতরকম চুরি আছে সব করছে। আমদানি নির্ভর জ্বালানি থেকে বের হবে না। চুরি করতে হবে। রাজপথে নামুন।

সাইফুল হক বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে অনিয়মের দায় জনগণ কেন নিবে। জনগণ ভোট বর্জন করায় গ্যাস বিদ্যুৎ এর দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের দাম যত কমছে জিনিসপত্রের দাম তত বাড়ছে। সিন্ডিকেট সরকার একাকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমলারা কথা শোনে না। যা খুশি তাই করো এমন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। পাচারের টাকা বিদেশে জুয়ার টেবিলে উড়ছে। সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব না। আন্দোলনের কর্মসূচি চলবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে ব্যাংকে টাকা নেই ডালার ও নেই। অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পারে নাই। চাল পেঁয়াজের দাম কত। লোন পেতে হাত পা ধরতে শুরু করেছে। রিজার্ভে টাকা নেই। অপতথ্য সরকার থেকে বেশী দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ডুবতে শুরু করেছে। রোজায় দাম কমাতে পারবে না সরকার। ৭ জানুয়ারি ভোটের নামে খেলা হলো। ভারতীয় পণ্য বর্জন করলে পুলিশ কিছুই করতে পাবে না। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবো। গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করে যাবে।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email