সুস্থ ও সুন্দর নগরী গড়তে সামাজিক উৎসব আয়োজনের আহ্বান মেয়র আতিকের

প্রকাশিতঃ 4:50 pm | November 10, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। সামাজিক উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। বিভিন্ন সোসাইটি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের প্রতি আমি আহ্বান করছি- একটি সুস্থ ও সুন্দর নগরী গড়তে সবাইকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক উৎসব ও অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ডিএনসিসি এই উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে ঢাকা ফ্লো আয়োজিত ‘ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আজকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল। কিন্ত আজ সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে এসে এই উৎসবে যোগ দিয়েছে। সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে। এই মিলনমেলার মাধ্যমে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। শহরে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন সামাজিক উৎসব আয়োজন করতে হবে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘জীবনে সফল হতে হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত এক্সারসাইজ, খেলাধুলা, মেডিটেশন, হেলদি ফুড, সুস্থ-সুন্দর বিনোদন এগুলো। যারা ব্যায়াম করে, ইয়োগা করে, খেলাধুলা করে, গান গায়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আমি তাদের পছন্দ করি। কিন্তু যারা ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবৈধভাবে মাঠ, পার্ক ও খাল দখল করে তাদের অপছন্দ করি, আমি তাদের বিরুদ্ধে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ওষুধের দোকানে গ্যাসের ওষুধ, প্যারাসিটামল এসব বেশি বিক্রি হতো, কিন্তু বর্তমানে ডিপ্রেশনের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি যুবসমাজকে খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ মানুষকে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ডিপ্রেশন থেকে দূরে রাখে। বনানীতে আমরা আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট পিচ রয়েছে এই মাঠে। কালশী ফ্লাইওভারের পাশে বালু মাঠে ঢাকার শহরের সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ ও শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে। আগারগাঁও যেখানে বাণিজ্য মেলা হতো সেই মাঠেও খেলার মাঠ হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন এবং নগরবাসীর সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে ইয়োগা সেশন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো পার্কে ছিল বাহারি পণ্য সামগ্রীর প্রায় ৩৫টি স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম‌্যাজিক শো, স্বাস্থ‌্য সেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ‌্য। এছাড়া আরও ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

গুলশান ও বনানীর স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি

Print Friendly, PDF & Email