ভোটে জিতে আসার মতো প্রার্থী সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ

প্রকাশিতঃ 6:06 pm | February 05, 2018

পলিটিক্যাল এডিটর, কালের আলো :

দূয়ারে কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন ভোটকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ। চাকরি জীবনে সুনামের অধিকারী নূর মোহাম্মদ স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও গ্রহণযোগ্য।

নিজস্ব উদ্যোগে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক এ পুলিশ প্রধান। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সবুজ সংকেতও পেয়েছেন তিনি।

নির্বাচনী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সহযোগিতা করার কারণে তিনি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত। ফলে এগিয়ে আসা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে জিতে আসার মতো শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে তাকে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীদের ভাষ্যে, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তার সবচেয়ে বড় গুণ তিনি সহজেই সাধারণ মানুষকে আপন করে কাছে টেনে নিতে পারেন। প্রতিশ্রুতিশীল এ নেতাকে ঘিরে পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর বাসিন্দারা নতুন স্বপ্ন বুনছেন।

কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-২ আসন। এ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। এবার তাঁর বিপরীতে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ।

বাস্তববাদী চিন্তা ও জনকল্যাণমুলক ভাবনা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন নানামুখী পদক্ষেপে পুলিশের আধুনিকায়নে নেতৃত্ব দেয়া সাবেক এ আইজিপি। তাকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণেরও আগ্রহের কমতি নেই।

এ আসনে নূর মোহাম্মদ ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শোনা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম.এ.আফজল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবরের নাম।

অন্যদিকে, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাঁকন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ জুন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী ভুঁইয়া প্রমুখ।

এ আসনে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দলটির সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও বাসদ থেকে আশরাফউদ্দিন মেনুর নাম উচ্চারিত হচ্ছে।

সূত্র মতে, এবার এ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রবল। ভোটে জিতে আসার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন কাউকে এ আসনে প্রার্থী করতে চায় না দলটির হাইকমান্ড। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

এ হিসেবে মনোনয়ন দৌড় থেকে ছিটতে পরতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে ভোটে শতভাগ জিতে আসার মতো প্রার্থী সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ। বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে বিজয় নিশ্চিত করতে এ আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নূর মোহাম্মদের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

দলটির বেশ কয়েকজন নেতা দৈনিক কালের আলোকে বলেন, নূর মোহাম্মদ যখন পুলিশের আইজি ছিলেন তখনো তাঁর গভীর মনোযোগ ছিল এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি। কেউ কোন বিপদে পড়লে সর্বাত্নকভাবে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। নির্বাচনের মাঠে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

জানা যায়, নূর মোহাম্মদের পক্ষে জোর প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন মাধ্যমেও।

মনোনয়ন ও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পুলিশের সাবেক এ আইজি কালের আলোকে বলেন, মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে এসেছি। আমার এলাকার বাসিন্দাদের আপদ-বিপদে অতীতেও পাশে থেকেছি। সামনেও থাকবো। সবচেয়ে বড় কথা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষকে পরিপূর্ণ সেবা দেয়া সম্ভব হয়। তাদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করতেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আরও পড়ুন  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথেই হাঁটতে চান ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি

 

কালের আলো/এএ

Print Friendly, PDF & Email