দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের ব্রত নিয়ে ফিরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 9:26 pm | May 17, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে এবং অর্থনীতির প্রতিটি মানদন্ডে আজকে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট পথনকশা অনুসরণ করার ফলে সম্ভব হয়েছে। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে যদি প্রধানমন্ত্রী দেশে না ফিরতেন তবে বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা স্থবির হয়ে পড়তো।

তিনি বলেন, দেশ ও দশের জন্য কিছু করার সংকল্প নিয়েই তিনি দেশে ফিরেছিলেন। ঘাতকের নির্মম বুলেট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে লক্ষ্য অর্জন করতে দেয়নি তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে।

বুধবার (১৭ মে) ঢাকায় আইডিইবি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদ আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন – এগিয়ে যাবার চার দশক ও আগামীর প্রত্যয়” শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন গড় মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অথচ দীর্ঘ একুশ বছর সামরিক শাসনকালে এদেশের অনেক মানুষকে অভুক্ত থাকতে হয়েছে, দারিদ্র্যের কষাঘাতে দিন যাপন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে আজ দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুতের নানা রকম সুফল আজ অত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ভোগ করছে। ইন্টারনেট সংযোগের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হওয়ায় গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও আজ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী উল্লেখ করেন বিএনপি শাসনামলে মোবাইলের একটি কোম্পানির একচেটিয়া বাজার ছিল যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য মোবাইল কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ সফলতার সাথে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে মো: তাজুল ইসলাম বলেন, এ অর্জন এমনিতে আসেনি, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এ লক্ষ অর্জন করেছেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আগে ঋণের জন্য বিভিন্ন দাতাসংস্থার কাছে বাংলাদেশের ধরনা দেওয়া লাগতো অথচ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা আমাদের কাছে ঋণ নিয়ে আসে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে আমরা এগিয়ে চলেছি এমনকি শত বছরের পথনকশা ডেল্টা প্ল্যানও তিনি আমাদের জন্য করে দিয়েছেন। এ হচ্ছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলাফল।

আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সহ সভাপতি সামছুর রহমান খান।

কালের আলো/বিএএ/এমএইচ

Print Friendly, PDF & Email