৫৭ দিনে ফল প্রকাশ, প্রধামন্ত্রীর স্বীকৃতি পেলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘টিম ওয়ার্ক’

প্রকাশিতঃ 11:33 pm | February 08, 2023

গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, কালের আলো:

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত সময়ের ৬০ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতাকে স্মরণ রেখে ৫৭ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করেছে। ফলাফলে মেধার গরিমায় বিজয় বৈজয়ন্তী উড়িয়েছে মেয়েরা। বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার ৫৭ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।

মূলত অসাধ্য সাধনের এ কর্মপ্রয়াসের নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ওয়ার্ক। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে ডা: দীপু মনির নেতৃত্বাধীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টিম স্পিরিটের স্বীকৃতি মিলেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের কঠোর পরিশ্রম আর প্রচেষ্টায় পরীক্ষা শেষের ৫৭ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনিও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চামেলি হলে এই ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানান। যারা পাস করতে পারেনি, তারা যেন মন খারাপ না করে সে কথাও বলেন। সামনে ভালো করার জন্য নতুন করে উদ্যোগ নিতে উপদেশ দেন।

ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখলাম পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তার মানে, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নিয়ম করেছিলাম, ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এবার আপনারা ৬০ দিনের আগেই দিয়েছেন। তাই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’ প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে দু’বার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সাফল্যের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেন, ‘করোনা মহামারির আগে এপ্রিলে পরীক্ষা হলেও এবার মহামারি ও কিছু অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠ ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল। এবারের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ১২টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানে কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের দক্ষ, যোগ্য ও অবদানক্ষম নাগরিক হয়ে উঠার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বরাবরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য সমগ্র শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email