যুদ্ধ নয়, শান্তির নীতিতে অটল প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 8:30 pm | November 21, 2022

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর, কালের আলো:

সামরিক খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রকাশের প্রথম দৃষ্টান্ত ১৯৭১’র ২১ নভেম্বরে। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির লক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৮ মাসের মাথায় ওই বছরের ২১ নভেম্বর স্বাধীন বাংলার সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিত আক্রমণ চালায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর। চূড়ান্ত আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকিরা। আসে গৌরবোজ্জ্বল কাক্সিক্ষত বিজয়। সেই থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যময় এই দিনটি প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস।

ইতিহাসের প্রেরণা সঞ্চারী এই দিবসে সোমবার (২১ নভেম্বর) আয়োজিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে চলতি বছরের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: অতিথি সারি পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় প্রধানমন্ত্রীর

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সশস্ত্র বাহিনীর সময়োপযোগী আধুনিকায়নের কথা তুলে আনেন মোটা দাগে। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নিজের জবানীতে উপস্থাপন করেন। আবারও পুনরুত্থিত করেন বাংলাদেশ সংঘাত নয়, শান্তি চায়। তুলে ধরেন জাতির পিতার নীতিতে অটল থেকে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুফল। স্বীকৃতি দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন পিপলস আর্মি।

বাবা-মা-ভাইসহ স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে বাংলাদেশকে বিশে^ একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে স্মরণ করিয়ে দেন সরকারপ্রধান। বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: শান্তিকালীন পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান

বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এমন আকাক্সক্ষার কথা দৃঢ়কন্ঠে উচ্চারণ করেন। শেষতক জানান, সেনাকুঞ্জে দীর্ঘ দু’বছর পর সবার সঙ্গে দেখা করতে পেরে নিজের আনন্দানুভূতির কথা।

ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে চলতি বছরের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মঞ্চে নির্ধারিত ভাষণ যখন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী তখন মঞ্চে তাঁর ঠিক পেছনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

প্রথম সকালেই ঢাকা সেনানিবাসে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী
সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রথম সকালেই ঢাকা সেনানিবাসে ছুটে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর সেনানীদের স্মরণ করেন। এ সময় তিন বাহিনীর চৌকস দল তাদের সম্মানসূচক গার্ড অব অনার প্রদান করেন। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে এরপর শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এরপর তিন বাহিনী প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্ধারিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। তিনি তাদের হাতে সম্মানী চেক এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়াও ৪ জন সেনা, ২ জন নৌ এবং ২ জন বিমান বাহিনী সদস্যদের ২০২১-২২ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হয়।

সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকটাত্মীয়সহ ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সাথে চা-চক্রে অংশগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে দেশ গড়া হচ্ছে
মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা ও আদর্শে তাঁর সরকার দেশকে গড়ে তুলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ কখনও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ভুলবে না বলেও জানান সরকারপ্রধান। ঢাকা সেনানিবাসে এই বছরের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান করছেন এবং তাদের সুবিধাগুলি যেমন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিশ্চিত করতে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। একটানা ৩ বার ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন বলেই মানুষের জন্য কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। যেসব মুক্তিযোদ্ধা একেবারে অবহেলিত পড়েছিল সরকার তাদের খুঁজে বের করে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাঁদের ভাতার ব্যবস্থা করা, মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা এমনকি তাঁদের দাফনের ব্যবস্থাও আমরা করছি।’

তিনি বলেন, ‘যারা আমার বাবার ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন তাদের সম্মান করা, মর্যাদা দেওয়াই আমাদের কাজ। দল মত পৃথক থাকতে পারে কিন্তু তাঁদের অবদান আমি কখনো ছোট করে দেখিনি, অবহেলা করিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখানে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি দখলদারিত্বের পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছে। কেউ কখনও মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করবে না। ভবিষ্যতে কেউ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে অবহেলার চোখে দেখবে না। আমাদের সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে।’

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী
এদিন বিকেল ৪ টার কিছু পরে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই জাতীয় সঙ্গীতের সুরে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় এই অভ্যর্থনার পর্ব। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্মরণ করেন ৭১ পরবর্তী সেই কঠিন দিনের কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদ্যোজাত বাংলাদেশের শুরু থেকেই স্বনির্ভর সশস্ত্র বাহিনী গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। ৭৫’র পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সরকার ক্ষমতায় এসে আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাঁর সরকার জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেকটি বাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্র ক্রয় করে দিয়েছে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একে একে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলেছে, যাতে করে আমাদের সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী কাজ করে। তাদেরকে আধুনিক অস্ত্র সস্ত্রে সমৃদ্ধ ও প্রযুক্তি জ্ঞানে দিক্ষীত করে গড়ে তুলছি, যাতে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তারা চলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করবো না, আমরা শান্তি চাই। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই নীতি শিখিয়ে গেছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমি বলতে পারি, আমরা সেই নীতিতে অটল থেকে পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার সেনাবাহিনীর নতুন নতুন ঘাঁটি তৈরী করা থেকে শুরু করে, অনেক কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করছে। নৌ বাহিনীকেও তাঁর সরকার ত্রিমাত্রিক করেছে এবং সমুদ্র সীমায় আমাদের যে অধিকার সেটা অর্জন করেছে। ভারতের সাথে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে শান্তিপূর্ণ ছিটমহল বিনিময় করেছে। তিনি এটাকে পৃথিবীর কাছে একটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর কোথাও দুই প্রতিবেশি দেশ এভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় করেছে, এমন নজির নেই।’

সত্যিই আমাদের সেনাবাহিনী এখন পিপলস আর্মি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীগণ ৩৪ বছর ধরে ত্যাগ-তিতীক্ষার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায়, আমরা এখন সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন,‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হবে জণগণের বাহিনী তথা পিপলস আর্মি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সত্যিই আমাদের সেনাবাহিনী এখন পিপলস আর্মি, কারণ যেকোন দুর্যোগে অথবা যেকোন দুর্ঘটনায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করে যায়। সেজন্য সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় এবং সন্ধ্যায় বরিশাল, কক্সবাজার, বগুড়া, সিলেট, ঘাটাইল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, যশোর, রংপুর ও খুলনা সেনানিবাস ও ঘাঁটিতে সংশ্লিষ্ট এরিয়া সদর দফতরের ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাটসমূহে নোঙ্গরকৃত অবস্থায় উন্মুক্ত রাখা হয়।

কালের আলো/এমএএএমকে

Print Friendly, PDF & Email