এনটিএমসির প্রথম ডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান; আলোকোজ্জ্বল পথে নবযাত্রা

প্রকাশিতঃ 8:46 pm | September 05, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

তাঁর হাত ধরেই দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) সক্ষমতা এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার কাছে শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। টানা ৫ বছর ৪ মাস সততা, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও দেশপ্রেমের অনন্য নজির গড়ে সামলেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের পদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেই এবার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে দায়িত্ব দিয়েছেন এনটিএমসি’র ইতিহাসে প্রথম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে। সরকার এবারই প্রথম এই পদ সৃষ্টি করে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন।

দেশপ্রেমিক ও অমিত সাহসী এই সেনা কর্মকর্তাকে প্রেষণে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ন্যস্ত করে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে ২১ জুলাই সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে জিয়াউল আহসানকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। গত জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পান তিনি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনায় নীতির প্রশ্নে আপসহীন দুর্গ ও আদর্শে অনড় এনটিএমসির ডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান পেশাদারিত্বের সঙ্গেই নিজের অর্পিত দায়িত্ব পালন করার সুদৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন। অসামান্য প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও মেধার দ্যুতিতে আলোকোজ্জ্বল পথেই যেন নান্দনিক নবযাত্রার সূচনা করেছেন ‘শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!’

নিজের সাফল্যের পালকে নতুন মাইলস্টোন স্পর্শের শুভক্ষণে কৃতজ্ঞচিত্তেই তিনি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ’র নাম।

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেনাপ্রধান আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। পেশাদারিত্বের সঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করব।’

দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের অন্যতম অগ্রনায়ক হিসেবে স্বর্ণের আখরে লেখা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের নাম। নানা সঙ্কটে বুক চিতিয়ে লড়েছেন। ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। র‍্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক থেকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক হিসেবেও দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করা জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা তথা সারা বিশ্বে সাইবার অপরাধীদের শনাক্ত করা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে সব ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা প্রদানে এনটিএমসি দিন-রাত একাকার করে কাজ করে চলেছেন। দেশপ্রেমকে কেবল বহিরাঙ্গে নয়, আত্মায় ধারণ করে নিন্দুকের মুখে ছাঁই দিয়ে বিজয়ের বৈজয়ন্তী উড়িয়েছেন নশ্বর জীবনের সীমাবদ্ধতাকে ছাপিয়ে যাওয়া এই নক্ষত্র পুরুষ।

কালের আলো/এনএ/বিএসবি

Print Friendly, PDF & Email