ময়মনসিংহ-৭: মাদানী আউট, রওশন ইন!
প্রকাশিতঃ 11:12 am | November 27, 2018
আউটপুট এডিটর, কালের আলো:
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের পর এবার ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকেও প্রার্থী হচ্ছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
এ বিরোধী দলীয় নেতা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন। সেবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
গত নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির এম.এ হান্নান। পরবর্তীতে মানবতা বিরোধী অপরাধে তিনি কারান্তরীণ হওয়ায় এবার আসনটিতে প্রার্থী সংকটে ভুগছিল জাতীয় পার্টি।
আর এই সুযোগে মাত্র একদিন আগে সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীকে নৌকার কান্ডারি হিসেবে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। আবার ঠিক একদিনের মাথায় ত্রিশাল আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহম্মেদ।
এদিকে নাটকীয়ভাবে বেগম রওশন এরশাদ ত্রিশাল থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় মাদানী সমর্থকদের মধ্যে এক রকম হতাশা নেমে এসেছে। তবে ভেতরে ভেতরে এ ঘটনায় খুশি হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত অন্য নেতারা। আবার অনেকেই বলছেন রওশন এরশাদকেই ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। এ কারণেই রেজা আলীর পরিবর্তে হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
কারণ গত সংসদ নির্বাচনেও একই ঘটনার অবতারণা হয়েছিল। ওইবার নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর জাতীয় পার্টির এম.এ হান্নানকে আসনটি ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন সে সময়কার সংসদ সদস্য রেজা আলী। পরে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে লাঙ্গলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন হাফেজ মাদানী।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মনে করেন, সদরের পাশাপাশি ত্রিশাল আসনেও শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে রওশন এরশাদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বাস্তবে এমনটি হলে দলীয় মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করতে হবে রুহুল আমিন মাদানীকে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে না নামলে বেগম রওশন নির্বাচনী বৈতরণি পাড় হতে পারবেন কিনা এমন সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহম্মেদ বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। একাধিক আসনে নির্বাচন করার যোগ্যতা তার রয়েছে। এ কারণে সদরের পাশাপাশি ত্রিশাল আসন থেকেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া আসনটি আমাদেরই ছিল। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি মহাজোট থেকে এ দুটি আসনেই ম্যাডাম প্রার্থী হবেন।’
কালের আলো/ওএইচ