খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 3:48 pm | July 20, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা সবসময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের কিছু অংশে সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন হওয়ায় খাদ্যের দামও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, বেসরকারি খাত, উৎপাদক এবং ভোক্তাদের সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।

বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে কনসালটিভ গ্রুপ ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (সিজিআইএআর)-বাংলাদেশ রিসার্চ পোর্টফোলিও ইন্ট্রোডাকশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ ডায়ালগের উদ্বোধন অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। গবেষণার চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা সমাধানে একটি সামগ্রিক পদ্ধতি বের করতে হবে। সিজিআইএআর-এর অংশীদারিত্ব সংলাপ বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন ও ভোগের পদ্ধতি রূপান্তরে সাহসী নতুন পদক্ষেপ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন এবং এই খাতের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ করে যাচ্ছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, মাছের জাত সংরক্ষণ, অধিক উৎপাদনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল মাছের জাত উদ্ভাবন, গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, পোলট্রির নতুন জাত উদ্ভাবনসহ নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে সরকারের এ মন্ত্রণালয়। এছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এর মধ্যে অন্যতম। এর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানুষের মধ্যে সহনশীলতা তৈরি করা।

সিজিআইএআর এর নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে। প্রাসঙ্গিক এবং উপযুক্ত যেকোন উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সব সময় সহযোগিতা করবে- যোগ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সিজিআইএআর-এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ খান।

স্বাগত বক্তব্য ও সিজিআইএআর এর কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন সিজিআইএআর-এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক টেমিনা লালানি-শরিফ। এছাড়া উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email