বিশ্ববাজারে দাম না কমলে কিছুই করার নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 3:28 pm | May 18, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকার ঘটনায় আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে কিছুই করার নেই।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এটির উত্তর জানতে হলে আমাকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমা পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারব না। কলকাতায় খবর নিন সেখানে কত দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। মানুষকে বৈশ্বিক অবস্থা জানাতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দুই বছর আমদানি কম ছিল। এখন খুলে যাওয়ায় ক্যাপিটালে প্রভাব পড়েছে, দুই বছরের চাপ পড়েছে একসঙ্গে। সবকিছু মিলে একটা প্রভাব পড়েছে। আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভে চাপ পড়েছে। গত দুই বছর আমদানি কমায় বেড়েছিল রিজার্ভ। এখন চাপ পড়ায় এই সমস্যা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, শ্রীলঙ্কায় বিপদ বলে আমাদের বিপদ তা তো নয়। আমরা তো তাদের সহায়তা করেছি। আমাদের ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি) পদ্ধতিতে আনা যাবে। দেশে গমের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।
ভারতে গম রপ্তানি বন্ধের খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে একটা কথা বাজারে উড়ছে যে, ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করেছে। এজন্য বাজারে গমের দামে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু কথাটি একেবারেই ঠিক নয়। ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে অন্যান্য দেশের। এখানে আসার আগে আমি ভারতের হাই কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি, উনিও একটা প্রেস কনফারেন্স দিয়েছেন যে, জিটুজি বন্ধ হয়নি। যত খুশি আনা যাবে। এমনকি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যারা বড় বড় আমদানিকারক আছে, চাইলে চিঠি দিয়ে অনুমতি নিতে পারবেন। পুরোপুরি ১০০ ভাগ আমদানিতে কোনো বাধা নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘ দেখলেই বলে ঝড় এসে গেছে। সেটা কিন্তু না। এছাড়া আমাদের দেশে এই মুহূর্তে গমের যে স্টক আছে, তাতে ভয়ের আশঙ্কা করি না।
ভোজ্যতেল ইস্যুতে তিনি বলেন, গ্লোবাল এ ক্রাইসিসকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা একটাই মেসেজ দিতে চাই, ভোজ্যতেলের এখন যে অবস্থা আছে, তাতে আশা করছি ক্রাইসিস হবে না।
কালের আলো/এসবি/এমএম