জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম’র সিদ্ধান্ত হয়নি : সিইসি
প্রকাশিতঃ 1:40 pm | May 10, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ১০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে বলে সহকর্মীরা জানিয়েছেন। ৩০০ আসনের বিষয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, যেটা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অনেকে অনেক ইচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন। তবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটগ্রহণ কীভাবে হবে, ইভিএমে কীভাবে হবে, ব্যালটে কীভাবে হবে, কতটা ইভিএমে আর কতটা ব্যালট হবে—এই ব্যাপারটায় কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি পর্যালোচনাধীন। ইতিমধ্যে অনেক সভা করেছি। আগামীতে দু-চারটি সভা হবে। পরে সিদ্ধান্ত হবে। যতদূর সম্ভব স্বাধীনভাবে আমরা ভোটের কার্যক্রম পরিচালনা করব। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত।
তিনি বলেন, অনেকেই অনেক মতামত দিতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারে। আলটিমেটলি আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, ভোট গ্রহণের পদ্ধতির বিষয়ে।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সিদ্ধান্ত আমাদের উপরেই থাকবে। মতামত আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। আপনিও মতামত দিতে পারেন, রাস্তার কেউ মতামত দিতে পারেন, রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারবে। আল্টিমেটলি আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, ভোট কোন পদ্ধতি ও কেমন হবে। সেটি আমাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা স্বাধীন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপে পড়ছে না কমিশন। কাউকে ভোটের মাঠে আনা কমিশনের কাজ নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান কমিশনের মূল দায়িত্ব।
এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় সিইসি সব যোগ্য নাগরিকদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ভোটার না হওয়াটাও আইনের ব্যত্যয়।
আগামী ২০ মে থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চার ধাপে এ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় কার্যক্রম চলবে ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে চার নির্বাচন কমিশনার, ইটিআই মহাপরিচালকসহ প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/বিএস/এমওম