পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ড : ক্ষমা চাইলেন ২ বিচারক
প্রকাশিতঃ 1:39 pm | October 31, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড দেয়ার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর নায়িকা পরীমণির রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন হাইকোর্ট।
নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এদিন ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারকের পক্ষে এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার নেওয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন দায়ের করেন।
গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমণির তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে পরীমণিকে প্রথম দফায় চার দিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।
এদিকে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণিকে জামিন না দিয়ে তার আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল জারি করেন। রুলে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের আলোকে গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল