শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তায় মুগ্ধ বিশ্ব, তাৎপর্যপূর্ণ উপস্থাপন দুর্যোগ সচিবেরও

প্রকাশিতঃ 9:09 pm | October 18, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

তিনি শাসক নন। এই দেশের মানুষের সেবক। দেশের মানুষের সেবা ও কল্যাণই তাঁর ব্রত। নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর অবিরাম মানুষের পাশে থেকে গড়ে তুলেছেন অনির্বাণ এক ভাবমূর্তি। অতিমারি করোনাকালেও মহানুভব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের মানবিকতার গুণে হয়ে উঠেছেন অনন্য। রচনা করেছেন নতুন ইতিহাস। হয়েছেন হিমাদ্রিশিখর সফলতার মূর্তস্মারক।

বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বেই করোনা সঙ্কট মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কাঙ্খিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে। শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা বৈশ্বিক পরিমন্ডলেও স্থাপন করেছে অনন্য এক নজির। কেবল-ই করোনা দুর্যোগ নয়, প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগেই মানবতার সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হ্যাট্টিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত দশ লক্ষাধিক বিদেশী নাগরিককে গত কয়েক বছর যাবত উদার হস্তে ভরণ-পোষণের ব্যবস্থায় তার মানবিকতার স্বীকৃতি দেশ ছাপিয়ে হয়েছে বৈশ্বিক। দেশের গন্ডি ছাপিয়ে বিশ্ব মঞ্চেও শক্তিমান ও বিতর্কমুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য মানবিক নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ঝরেছে আরও একবার।

‘দক্ষিণ এশিয়ায় মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে সোমবার (১৮ অক্টোবর) অর্জনের সোপানে সতত অগ্রসরমান বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তার রেকর্ড আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পঞ্চম কংগ্রেসে প্রি-ইভেন্ট হিসেবে এই ওয়েবিনার’র আয়োজন করা হয়।

এই সেমিনারে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং যুক্তরাজ্যের বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের অবিস্মরণীয় সাফল্য নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনায় মুগ্ধ বিশ্ব
সেমিনারে বক্তারা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশের জনগণকে নগদ টাকা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও প্রশংসিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সন্ধান, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় ওঠে আসে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ, ইজিপিপি, জিআর (ক্যাশ), জিআর (চাল) এবং শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় নগদ সহায়তা ও ভাতা প্রদান করে থাকে বলে সচিব উল্লেখ করেন।

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণের লক্ষে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যারই ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘রোল মডেল’।

এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য ড.কৃষ্ণ বৎস, শ্রীলংকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) সুধান্ত রানাঘিংথে, ভারতের অল ইন্ডিয়া ডিজাস্টার মিটিগেশন ইন্সটিটিউটের ডাইরেক্টর মিহির ভাট এবং লন্ডনের হিউম্যানিটেরিয়ান এ্যাকশন এন্ড ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ-এর প্রিন্সিপাল পল নক্স ক্লার্ক।

কালের আলো/জিকেএম/এমকে

Print Friendly, PDF & Email