করোনা প্রতিরোধে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিতঃ 11:57 pm | July 10, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কমিটি জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি, চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান, টিকা প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণে কাজ করবে।

শনিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোভিড-১৯ এর ২য় ঢেউ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং দিক নির্দেশনা প্রদান উপলক্ষে এক জুম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা সৃষ্টি, চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান, ভ্যাকসিন প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ ও সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে এই কমিটি।

প্রস্তাবিত কমিটিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্য, যুব, কৃষি, আনসার ভিডিপির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, এনজিও প্রতিনিধি, হাট-বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দরা সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি খুব একটা ছড়ায়নি।

তবে মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।

গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। এক পর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি।

তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। এই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

সভায় করোনা রোগ ছড়ানোর বিভিন্ন কারণ এবং তা প্রতিরোধ বিষয়ে বয়স্ক ও বিভিন্ন রোগের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সাবধানতা অবলম্বন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়ে আরো প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল