মিথ্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত সিদ্দিকী নাজমুল আলম

প্রকাশিতঃ 11:11 am | October 01, 2019

কালের আলো ডেস্ক:

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। সাবেক এ ছাত্রনেতা বর্তমানে লন্ডনে অন্তত ৪ টি কোম্পানির মালিক বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নাজমুল আলমের প্রতিটি কোম্পানীর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে এ খবরে চটেছেন নাজমুল। তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নাজমুল আলমের দাবি তার কোম্পানী সম্পর্কে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তার পুরোটাই ভূয়া। কালের আলো’র পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

‘সত্যের জয় হবেই ইনশাল্লাহ
আমি প্রস্তুত আছি সব মিথ্যা মোকাবিলার
দেশে স্বশরীরে উপস্থিত থেকেই
প্রমান করবো কোনটা সত্য / মিথ্যা ।

কোন ব্যাংক থেকে বড় কোন লোন, বড় কোন টেন্ডারে অংশগ্রহন, আইজি ডব্লিওর ব্যাবসা,ওয়েল ট্যাঙ্কার, কোন সরকারী বেসরকারী বিরাট বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানর পরিচালক,পাওয়ার প্ল্যান ,ফিশিং ট্রলার লাইসেন্স, জ্বালানি বিষয়ক কোন কোন্পানীর পরিচালক, শেয়ার বাজার পরিচালনার ব্রোকার হাউস, বন্দরে ব্যবসা,অবৈধ আবাসন ব্যবসা , ড্রেজার ব্যবসা , দালালী, বড় আইটির টেন্ডার,তদবির,ওয়াসা,খাদ্য,পূর্ত,শিক্ষা,রেল, কোন ব্যবসায় আজ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করিনি তারপরও দুদক আমার ব্যাপারে তদন্ত করবে । আমি তাদের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানাই। আশাকরি তারা সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা প্রকাশ করে কিছু নিজ দলের এবং অন্যদলের মানুষের মুখরোচক গল্প থামাবে।

২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কোন মন্ত্রী অথবা সচিব অথবা কোন ডিজি কেউ যদি বলতে পারেন আমি কোন কাজ নিয়ে কারোর কাছে গেছি তাহলে যা শাস্তি মাথা পেতে নেবো । আর চরম আরেকটা কথা হলো ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করা ছাড়া কোন সচিব আমি চিনিও না ।

ছোট ব্যবসা করে জীবন চালিয়ে বড় পরিসরে রাজনীতি করা অন্যায় এটা আজকে বুঝলাম। উপরের বড় বড় কর্মকান্ডগুলোর সাথে জড়িত থাকলেই হয়তো মুখোশদারীদের মতো ভালো থাকতাম।

যারা আমাকে চেনেন জানেন তাদের সবারকাছে দোয়া চাই যেন সত্যকে ধারন বুক সটান করে দাড়িয়ে মিথ্যাকে মোকাবেলা করতে পারি ।

যারা জেনুইন দুর্নীতিবাজ নিজ দলের এবং অন্য দলের তারাও প্রস্তুত থাইকেন কারন……………’

নাজমুলের নামে ব্রিটেনের কোম্পানি হাউজে আবাসন, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ম্যানেজমেন্ট, পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা, বিজ্ঞাপন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির পরিচালক পদে তার নাম নেই। বাকি চারটি কোম্পানির মধ্যে একটির একক পরিচালক এবং আরও তিনটি কোম্পানির যৌথ পরিচালক হিসেবে তিনি রয়েছেন।

২০১১ সালের জুলাইয়ে সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হন এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ছাত্র রাজনীতিতে সততার কথা বলা এবং নিজেকে একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান দাবি করেন নাজমুল। জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমুলের বাবার নাম খায়রুল ইসলাম শাহজাহান। খাদ্য অধিদপ্তরের পিয়ন থেকে নাজমুলের বাবা এখন খাদ্য ইন্সপেক্টর।

জানা যায়, ব্রিটিশ সরকারের কাছে নাজমুলের কোটি কোটি টাকার নিবন্ধিত বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে নাজমুল আলম বিনিয়োগকারী ভিসায় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। ব্রিটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী, এই ভিসা পেতে ন্যূনতম ২ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটির বেশি) বিনিয়োগ করতে হয়।

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1760289934101463&set=a.377826802347790&type=3&theater

কালের আলো/বিআর/এনএম