খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে: বিএসএমএমইউ

প্রকাশিতঃ 5:23 pm | July 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএসএমএমইউ এর কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার দাঁতে কিছু সমস্যা দেখা দিলে শনিবার তাকে হাসপাতালটির দন্তরোগ বিভাগে নেওয়া হয়। এজন্য দুপুর দেড়টার দিকে কড়া পাহারায় তাকে কেবিন ব্লক থেকে বের করা হয়। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালটির আরেকটি ব্লকে অবস্থিত দন্ত বিভাগে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আবারও কেবিন ব্লকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পুরোটা সময়ই হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন বিএনপির এই প্রধান।

দন্তরোগ বিভাগে বিএসএমএমইউর ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী বিল্লুর রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করেন।

ব্রিফিংয়ে এই চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার উপরের ৭ ও ৮ নম্বর দাঁত ভাঙা ছিল এবং সেগুলোর মাথা ধারালো ছিল। ধারালো অংশগুলো সমান করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় একে বলে গ্রাইন্ডিং। এরপর দাঁদের ওই্ অংশ মসৃণ করার জন্য পলিশিং করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার অন্যান্য দাঁতে এখন ব্যাথা নেই জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তবে দুই-এক জায়গায় ব্যাথা না থাকলেও ফিলিং লাগতে পারে। সেটাও সময়মতো করে দেওয়া হবে। তাকে মাউথওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান চিকিৎসক।

এসময় বিএসএমএমইউ এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক বলেন, আপনারা জানেন যে তার (খালেদা জিয়ার) কিছু ক্রনিক অসুখ। সেগুলো তো আর রাতারাতি ভালো হবে না। তবে তিনি ইমপ্রুভিং, কমফোর্টেবল আছেন। যে রকম এখানে এসেছিলেন তার চেয়ে বেটার আছেন।

প্রসঙ্গত, পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য গত ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি এখানে রয়েছেন।

কালের আলো/এআর/এমএম