এই অচল শহরের দায় কার?
প্রকাশিতঃ 11:12 am | May 27, 2019

কালের আলো ডেস্ক:
ঢাকা শহরের জ্যাম নতুন কিছু নয়, তবে রোজার মাসে এই জ্যামের পরিমাণ যেন একটু বেড়েই যায়। বিশেষ করে ইফতারের আগের সময়টাতে গাড়ির চাকা যেন ঘুরতেই চায়না।
এই তীব্র জ্যামের কারনে ঢাকা শহরের বহু মানুষকে রাস্তায় ইফতার করতে হয় শুধু পানি খেয়ে। সারাদিন রোজা রেখে দিন শেষে একটু শান্তিতে ইফতার করবে এই ফুরসতও নেই রোজাদারদের।
ঢাকা শহরের নিত্যদিনের এই সমস্যা ও নিজের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন বিএসএমএমইউ এর ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ ।
কালের আলো’র পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি সরাসরি তুলে ধরা হলো-
যানজট, সময় ও খাবারের ধরণ- সব মিলিয়ে বাসার বাইরে ইফতারে আমার আগ্রহ বরাবরই কম। এই রোজায় শনিবার প্রথম বাইরে ইফতার করেছি। তাও আবার একই দিনে তিনটা আয়োজন হওয়াতে কীভাবে ম্যানেজ করবো সেটা নিয়ে একটু মুশকিলই অনুভব করছিলাম।
রাজনৈতিক গবেষণা সংগঠন জি-নাইন, ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ৯৩ (ডিসিএ-৯৩) ও আংগারিয়া হাই স্কুল (শরিয়তপুর) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার একই দিনে। কোনটাই মিস দেয়া সম্ভব নয়।
তাই প্ল্যান ছিল প্রথমে জি-নাইনের মিটিংয়ে এটেন্ড করে ইফতার করবো গিয়ে ঢাকা কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে । তারপর ডিনার করবো আংগারিয়া স্কুলের প্রোগ্রামে। তিনটাই মোটামুটি কাছাকাছি হওয়াতে এই দুঃসাহসী পরিকল্পনাটা নিয়েছিলাম।
সে অনুযায়ী বাসাবো থেকে বিকাল চারটায় রওয়ানা দিয়ে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত গিয়ে বসে থেকে থেকে পেরিয়ে গেল ছয়টা।
উপায়ান্তর না দেখে হাঁটা শুরু করলাম । এতটা পথ হেঁটে বাংলামটর গ্রিন লাউঞ্জে গিয়ে কোনোমতে ইফতার ধরতে পারলাম।
সামান্য দূরে সেভেন হিলে যখন পৌঁছলাম তখন অনেক বন্ধুই চলে গেছে। সবার সঙ্গে দেখাটাও হলো না। যেতেই পারলাম না আংগারিয়া স্কুলের আয়োজনে।
কথা হলো, এই অচল শহরটার দায় তো কাউকে না কাউকে নিতে হবে। এই শহরটা অচল হওয়ার জন্য কি তের বছর আগে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া বিএনপিকেই দায়ী করবো আমরা?
পৃথিবীর দ্বিতীয় পচা রাজধানী শহরের এই দশা থেকে উত্তরণের জন্য চেতনার ফেরিওয়ালাদের অবদান কী!
কালের আলো/আরএ/পিএম