দায়িত্ব গ্রহণের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:47 pm | October 06, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

দায়িত্ব গ্রহণের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান লেকোর্নো। আজ সোমবার প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর এলিসি প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর হাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এলিসি প্রাসাদের কর্মকর্তারা।

গতকাল রোববার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন লেকোর্নো। তার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ পত্র জামা দিলেন তিনি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো আস্থাভোটে হেরে পদত্যাগ করার পরের দিন ৯ সেপ্টেম্বর নিজের দীর্ঘদিনের সহযোগী সেবাস্টিয়ান লেকোর্নোকে প্রধানমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। নিয়োগের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি। ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ডটি এখন লেকোর্নোর।

সম্প্রতি জাতীয় বাজেট কাটছাঁট নিয়ে সরকারে প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ফ্রান্সের জনগণ ও বিরোধী দলগুলো। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারে স্বস্তি দিতে গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে কল্যাণমূলক ও জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন খাত থেকে সরকারি বরাদ্দের অর্থ কাটছাঁট করার একটি প্রস্তাব পাস করে ফ্রান্সের মন্ত্রিসভা; পাস হওয়া সেই প্রস্তাব অনুযায়ী বাজেট সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত থেকে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দের মোট ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে ফেলা হয়।

এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় ফ্রান্সের সাধারণ জনগণ। জনগণের ক্ষোভকে আমলে নিয়ে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ফাঙ্কোইস বায়রোকে আস্থাভোটের চ্যালেঞ্জ জানান বিরোধী দলীয় এমপিরা। সেই ভোটে হেরে গিয়ে বিদায় নিতে হয় বায়রোকে। তার বিদায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লেকোর্নোকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন ম্যাক্রোঁ।

ঠিক কী কারণে লেকোর্নোকে পদত্যাগ করতে হলো— তা বলেননি এলিসি প্রাসাদের কর্মকর্তারা। লেকোর্নোর পর কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন— সে সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।

লেকোর্নোর পদত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ডানপন্থি দলগুলো। বামপন্থি দলগুলো ম্যাক্রোঁর অভিশংসনের দাবি তুলেছে।

ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লেকোর্নোর পদত্যাগের পর দেশটির পুঁজিবাজারের ভলিউম ২ শতাংশ কমে গেছে।

বস্তুত, ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম গভীর অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ফ্রান্স।

কালের আলো/এসএকে