ফরিদপুরে অর্ধশতাধিক পূজামণ্ডপের খোঁজখবর নিলেন এ. কে. আজাদ
প্রকাশিতঃ 4:33 pm | September 29, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ফরিদপুর–৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ ফরিদপুর সদরের অর্ধশতাধিক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রতিটি মণ্ডপে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা করেন তিনি। পূজা চলাকালীন আজ সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত এভাবে ১৯৯ পূজা মণ্ডপের প্রতিটিতে ২০ হাজার টাকা করে তিনি সহায়তা করবেন বলে জানা গেছে।
এ. কে. আজাদ বলেন, অন্য ধর্মের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন প্রতিশ্রুত সকল অসমাপ্ত কাজ নিজ অর্থায়নে সমাপ্ত করার কথা জানান তিনি।
চাঁদপুর ইউনিয়নের পূজামণ্ডপে গিয়ে এ. কে. আজাদ বলেন, বেকারত্ব দূর করতে সবগুলো উদ্যোগ নেবেন তিনি। যেখানে ট্রেনিং সেন্টার নেই, সেসব জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার দিয়ে সবাইকে যোগ্য করে কাজে লাগানো হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, তিনি নির্বাচন করবেন নাকি করবেন না, এমন সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তবে, মানুষ যদি চায় তিনি আবার প্রতিনিধিত্ব করুক, তবেই নির্বাচন করবেন ফরিদপুরের মানুষের জন্য।
তিনি বলেন, ‘যে দল বা মতের হোক, আমরা এমন একজনকে নেতা বানাতে চাই, যে চাঁদাবাজি করবে না, এতিমের টাকা মেরে খাবে না। বাস স্টেশন, ট্রাক স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় কোনো চাঁদাবাজি করবে না, এমন নেতা নির্বাচন করতে হবে।’
এ সময় রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা চাই আবারও নির্বাচন করবেন এ. কে. আজাদ।’ জনমানুষের জন্য তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবেন, সে প্রত্যাচ্শা রেখে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার প্রসারতা, বেকরত্বের অবসানে এ. কে. আজাদের বিকল্প নেই।’
এ. কে. আজাদ পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সভাপতি, সেক্রেটারি, সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরে এ বছর ৭৫৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯৯টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে নানান উদ্যোগ নিয়েছে ফরিদপুর প্রশাসনও। এবারে ফরিদপুরে ৭১টি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম, গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি মণ্ডপে স্থায়ী ১৫টি পিকেট টিম, ১১টি পিকআপ মোবাইল টিম, ডিবির ৩০ জন সদস্য, ডিএসবির ২৫ জন সদস্য, ট্রাফিক পুলিশের ৪০ জন সদস্য ও ৩ হাজারের অধিক আনসার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কালের আলো/এমএএইচ/এইচএন