এনবিআরের সিঙ্গেল উইন্ডোর লাইসেন্স সেবা ৪.৩০ লাখ ছাড়িয়ে

প্রকাশিতঃ 8:46 pm | July 20, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আল

দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-সম্পর্কিত সব সেবায় চালু হওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা অনলাইনে ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার অতিক্রম করেছে।

রোববার (২০ জুলাই) এনবিআরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ বলেন, এনবিআরের আওতাধীন সিঙ্গেল উইন্ডে সিস্টেম এরইমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের সংখ্যা ৪ লাখ ৩১ হাজার ১৬৯ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই মাইলফলক অতিক্রম করার সহযোগী হিসেবে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গো-লাইভে যাওয়া বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ), বিস্ফোরক অধিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে এনবিআরের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি পণ্যচালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট ১৯টি সংস্থা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট এই সিস্টেম থেকে অনলাইনে দিতে সক্ষম। যেকোনো প্রয়োজনে কল সেন্টার ( হটলাইন-১৬১৩৯) ফোন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে সেবাগ্রহীতারা।

গত ২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করে এনবিআর। আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগের অধীনে কাস্টমস এজেন্সিগুলোকে একক প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে। ২০১৭ সালে গৃহীত এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো কাস্টমস সংক্রান্ত ১৯টি সংস্থার কার্যক্রমকে একত্রিত করা। এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজ সহজতর করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার লক্ষ্যও বহন করে।

বর্তমানে বিএসডব্লিউ’র সিস্টেমের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়। এরইমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে ৩৮টি দপ্তর/সংস্থা/মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব সংস্থা এরইমধ্যে তাদের অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত সব ধরনের প্রশংসাপত্র, লাইসেন্স এবং পারমিট পেতে পারবেন। ফলে, কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য আর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডোর সুবিধা
২০১৭ সালে এনবিআর ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ প্রকল্প চালু করে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন থেকে এটি বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো নামে পরিচিত হবে। এর লক্ষ্য কাস্টমস-সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমকে একটি প্ল্যাটফর্মের অধীনে নিয়ে আসা। এটি কাগজপত্রের ঝামেলা দূর করে এবং সময় বাঁচিয়ে ব্যবসা কার্যক্রম আরও সহজ করে তুলবে। এ প্ল্যাটফর্ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-সম্পর্কিত পারমিট, লাইসেন্স, প্রশংসাপত্র এবং শুল্ক ঘোষণার প্রক্রিয়াগুলোকে স্বয়ংক্রিয় করবে। আশা করা হচ্ছে, এটি ব্যবসায়ীদের কাগজপত্র, সময় এবং খরচ কমাতে সাহায্য করবে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নির্মিত এ প্ল্যাটফর্ম কর ফাঁকি রোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কালের আলো/এমডিএইচ