কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে— প্রশ্ন আমীর খসরুর

প্রকাশিতঃ 7:57 pm | June 08, 2025

চট্টগ্রাম  প্রতিবেদক, কালের আলো:

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রশ্ন রেখেছেন, কার স্বার্থে, কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন নিয়ে যাওযা হচ্ছে।

রোববার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আগামী দিনে নির্বাচন করা সম্ভব হবে কী না, এই প্রশ্ন কিন্তু মানুষের মনে জেগেছে। কারণ আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে আমাদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এর বেশি লাগার কোনো কারণ নেই।’

‘বিচার কার্য চলছে, বিচার বিভাগের অধীনে। একটা বিচারালয়ে বিচার চলছে। সুতরাং সরকার আসবে যাবে, বিচার অব্যাহত থাকবে। যারা বিচারের আওতায় আসার বাকি থাকবে, সরকার সেজন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সুযোগ পাবে।’

এরপরও বাকি থাকলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে বিচার করবে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘সরকার যদি তারপরও আনতে না পারে, বিএনপি আসলে বাকি যারা থাকবে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে।

‘বাংলাদেশে বিএনপির থেকে বেশি আর কোনো দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। দায়িত্ব হচ্ছে যারা এই নিপীড়ন নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। আর কেউ করুক আর না করুক আমরা করব।’

এরপর আর নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এখন সব কাজ সমাপ্তির দিকে, তাই নির্বাচন কেন ডিসেম্বরের পরে, কেন আগে নয় ? অনেকের মতে তো এগুলো সমাধানের পর অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা। তাহলে কেন ডিসেম্বরের পরে? এই প্রশ্নটা সকলের মনে জেগেছে। কার স্বার্থে ডিসেম্বরের পরে? কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে?’

বিএনপিসহ দেশের ৯০ শতাংশ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় দাবি করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ওই গোষ্ঠীর স্বার্থে যদি ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দলকে উপক্ষো করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, তাহলে সন্দেহ মানুষের মনে জাগবে। তারা (সরকার) যেভাবে প্রভাবিত হচ্ছে ওই গোষ্ঠীর স্বার্থে, তাহলে আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে হবে কিনা এই প্রশ্ন মানুষের মনে জেগেছে। এই সরকারের অধীনে আগামী দিনে নির্বাচন করা সম্ভব হবে কিনা এই প্রশ্ন কিন্তু মানুষের মনে জেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোন যুক্তি নাই। ডিসেম্বরের পরে গেলে যেটা হবে, রমজান মাস আমাদের ত্যাগের-সংযমের মাস। ধর্মীয় অনুভূতির মাস। ওই মাসে আমরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করতে চাই না। এরপরে পরীক্ষা। তারপরে আবহাওয়াজনিত সমস্যা, ঘূর্ণিঝড়। সুতরাং ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নির্বাচন চাই। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’

কালের আলো/এএএন