খালেদা জিয়ার অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনে ফুটো গুজবের ফানুস, প্রমাণিত রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ নেই সেনাবাহিনীর

প্রকাশিতঃ 11:06 pm | May 07, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

ছয় বছর পর কারামুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন চার মাস আগে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন তখন থেকেই ফের ‘মাইনাস টু’ নিয়ে চর্চা শুরু হয় দেশ-বিদেশে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন। ফরমায়েশি মামলা থেকে কারামুক্ত হন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপসহীন লড়াকু নেত্রী বেগম জিয়া। নিজের কারামুক্তির প্রায় ৫ মাস পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান। ঠিক ৬ দিন আগে অসুস্থ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে সহধর্মিণী বেগম সারাহনাজ কামালিকা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সরাসরি তাঁর বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাবেক কোন প্রধানমন্ত্রীর বাসায় একজন রানিং সেনাপ্রধানের আগমনের এই ঘটনা ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম।

রাজনীতিতে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হওয়া এই বিষয়টিকে অনেকেই ‘বিরল ঘটনা’ ও ‘এই সময়ের জন্য ইতিবাচক’ বলেও মন্তব্য করেন। খালেদার বিদেশ যাত্রার মধ্যে দিয়ে পাঁচ দশক পর বাংলাদেশে একই সময় দুই দলের দু’শীর্ষ নেত্রীর অনুপস্থিতি দেখা যায়। ওয়ান ইলেভেনে মঈন-মাসুদ-ফখরুদ্দিন সরকার দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করার ষড়যন্ত্র করেও সফল হতে পারেননি। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও সেই ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ প্রয়োগের আশঙ্কায় কথার তুবড়ি ছুটতে থাকে। জনতার রোষে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা যেহেতু আগেই দেশ ছাড়েন আবার বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম জিয়াও চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেলেন; ফলত অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর বয়ান দিতে থাকেন গুটিকয়েক রাজনীতিক থেকে শুরু করে ইউটিউবাররাও। অর্থাৎ, রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়ার চিরবিদায়। সহজ ভাষায় বললে, খালেদাকে রাজনীতি থেকেই বাদ! কেউ আবার মাত্রা বাড়িয়ে বলেন, খালেদা জিয়া নিজেই আর ফিরে আসবেন না।

আর এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নকারী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতায় মাঠে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়েও নানান গুজব-গুঞ্জন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন কল্পকাহিনী ফাঁদার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কসরত চালাতে দৈত্যের ভূমিকায় মহৎ কর্ম নৈপুণ্য প্রদর্শনে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েন কেউ কেউ। তির্যক বাক্যে আক্রমণ বা দুষ্কীর্তির আস্ফালন বাদ যায়নি কিছুই। আদতে ‘মাইনাস টু’ বা ‘মাইনাস খালেদা’ যে ওই শ্রেণিটির উর্বর মস্তিষ্কের বালখিল্যতার নামান্তর ছিল তাঁর প্রমাণ মেলে গত মঙ্গলবার (০৬ মে) সব গুজব, সন্দেহ-সংশয় আর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তিমির হননের রাজনীতিক, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার মধ্যে দিয়ে। ভুল প্রমাণিত হয় নেতিবাচক সব পূর্বাভাস, অপপ্রচার। লক্ষ জনতার জোয়ারে ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এই ‘আদর্শের বাতিঘর’। ‘রাজনীতির হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের মাটি স্পর্শ করেন তখন তাকে একনজর দেখতে লাখ লাখ জনতা রাজপথে নানা স্লোগানে ঢাকাকে করে তুলেন মুখর। আরও কী দেখা গেলো অবিস্মরণীয়, অভাবনীয় ও অনির্বচনীয় আনন্দের দিনটিতে? সেনাবাহিনী নজিরবিহীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করলো। বিএনপি’র চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। এতে ফুটো হলো গুজবের ফানুস। কিন্তু এতোদিন ‘মাইনাস খালেদা জিয়া’ বুলি নিয়ে যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার চললো এখন তাঁর কী জবাব দেবেন বানোয়াট কুতর্কে লম্ফঝম্ফকারী কুশীলবরা?

গণতন্ত্রচর্চার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল বা নেতাদের অপরিহার্য ভূমিকা আর অত্যাবশ্যকতা সর্বজনবিদিত। দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা এবং দলীয় কর্মকাণ্ড নাগরিক জীবনকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চালিকাশক্তি হচ্ছে রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক ক্ষমতার মূল হাতিয়ার তাঁরাই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও এই নীতিতে বিশ্বাস করেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সাক্ষাতকারেও তিনি সর্বজনীন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে অঙ্গীকারের বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘সেনাপ্রধান হিসেবে নিজের মেয়াদকালে আমি রাজনীতিতে নাক গলাব না। আমি সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে হস্তক্ষেপ করতে দেব না। এটাই আমার স্পষ্ট অঙ্গীকার।’ দেশের সঙ্কটময় এই মুহুর্তে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলকে পৃষ্ঠপোষকতা দেননি। রাজনীতিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার মতো অগণতান্ত্রিক কোন আচরণ করেননি। বরং বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন-‘রাজনীতিবিদের বিকল্প রাজনীতিবিদেরাই। তাদের বিকল্প সেনাবাহিনী নয়।’ তিনি মনেপ্রাণে যেটি বিশ্বাস করেন সেটিই অবলীলায় উচ্চারণ করেছেন।

দেশের ও জনগণের স্বার্থই তাঁর কাছে মূল উপজীব্য বলেই গত বছরের ৫ আগস্টেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর ‘নো ফায়ার’ নির্দেশনা পাল্টে দেয় সামগ্রিক পরিস্থিতি। একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে অগ্রসর হয় দেশ। একইভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে চললেও কোথাও হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবশ্যম্ভাবী সমস্যা তৈরি করেননি। সব সময়ই তিনি বলে এসেছেন-‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করছি। তারা আমাদের কাছ থেকে যে ধরনের সহায়তা চাইছে, সেভাবেই সহায়তা দিচ্ছি এবং দেব। যে দিন অন্তর্বর্তী সরকার বলবে, ‘আপনাদের অনেক ধন্যবাদ, আপনারা আপনাদের কাজটা সম্পন্ন করেছেন, এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে।’ আমরা তখন সানন্দে সেনানিবাসে ফিরে যাব।’ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারেও তিনি তাগিদ দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকেই তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছিলেন। সেই অবস্থান থেকে এক বিন্দুও নড়েননি। অন্তর্বর্তী সরকারও চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগোচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা আলোচনায় এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতি ও পেশাদার সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর দুটি আলাদা জগত হওয়ার কথা। নব্বইয়ের পর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনী তৎকালীন সরকারকে সমর্থন করেনি। আবার নিজেরাও ক্ষমতা গ্রহণ করেননি বা ক্ষমতায় ভাগ বসাননি। তবে ওয়ান ইলেভেনের অধ্যায়টিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু থেকেই এসব বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশ ছিল সরকারবিহীন। এই তিন দিন আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। এখনও ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতায় দেশের জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার প্রতিটি দায়িত্ব সূচারূভাবে পালন করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কারও প্রতি চড়াও না হয়ে ধৈর্য্যরে সঙ্গেই সব কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। কোথাও বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেনি। ঘটেনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও। দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয়টিকে অবশ্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলার দেখভাল করছি। কিন্তু আমাদের ১/১১-এর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। সেনাসদস্যদের মাঠে দীর্ঘদিনের উপস্থিতি উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করে। যদিও সংখ্যাটা খুবই কম। শৃঙ্খলাজনিত ঘটনার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শেষে শাস্তিও দিই। এরপরও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। আমাদের তো এ ধরনের কাজে যুক্ততা কিংবা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য তৈরি করা হয়নি।’ জেনারেল ওয়াকার নিজের প্রতিটি সুচিন্তিত পদক্ষেপ, বুদ্ধি-বোধে, মর্মে-কর্মে প্রমাণ করেছেন এক এগারো’র সময়কার সেনাবাহিনী ও তাঁর সময়কার সেনাবাহিনী এক নয় মোটেও।

চব্বিশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কারে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। টেকসই সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র, সুশাসন ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। গণতন্ত্রের নতুন যাত্রায় সরকারকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রের উৎকর্ষতা ও সঙ্কটময় সময়ে সেনাবাহিনীর এই নিয়ামক ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা বিশ্বাস করেন- গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো জনগণ। জনগণই রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থার প্রকৃত মালিক এবং তাদের ইচ্ছা, মতামত ও অংশগ্রহণই শাসনব্যবস্থার বৈধতা নির্ধারণ করে। এটি কেবল একটি তত্ত্ব নয়, বরং একক কর্তৃত্ববাদের থেকে সর্বজনীন ব্যবস্থার রূপান্তর।

এক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের চিন্তার দৃঢ়তা ও ইনসাফ অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার একটি অত্যুজ্জ্বল উদাহরণ ছিল গত বছরের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিমন্ত্রণ ও তাঁর হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতি। দীর্ঘ সময় পর রাষ্ট্রীয় এই অনুষ্ঠানে বেগম জিয়া উপস্থিত হলে সেনাকুঞ্জে তাকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। নতুন ইতিহাসের যাত্রাপথে এ নিয়ে গর্বিত উচ্চারণ ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস এর কণ্ঠেও। তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে।’

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠান শেষে বেগম জিয়া বাসায় ফেরার পর সেখানে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জে যাওয়ার এই ঘটনা গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে ‘ইতিবাচক ভূমিকা’ রাখবে।’ ওই সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে- সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর যারা প্রধান আছেন তাদেরকে, যারা অধিকর্তা আছেন তাদেরকে। ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে- আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।’

কালের আলো/এমএএএমকে