নুসরাত হত্যাকাণ্ড: সোনাগাজী উপজেলা আ. লীগ সভাপতি আটক
প্রকাশিতঃ 7:09 pm | April 19, 2019

কালের আলো প্রতিবেদকঃ
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার তাকিয়া বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আটক রুহুল আমিন ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই’র এএসপি মনিরুজ্জামান।
পিবিআই ও আদালতের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত রবিবার গভীর রাতে মামলার আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের জবানবন্দিতে এ ঘটনায় রুহুল আমিনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানা যায়।
জবানবন্দিতে ১৩ থেকে ১৪ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও এ ঘটনায় নামে-বেনামে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ জন জড়িত।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে দুই আসামি পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। এতে মোট ২৫ থেকে ২৬ জনের সম্পৃক্ততার কথা ওঠে আসে। সবার নাম বলতে পারেনি তারা। এর সঙ্গে বাইরে থেকে যুক্ত অনেককে চিনতেন না তারা।
ঘটনার পর শাহাদাত হোসেন শামীম মোবাইল ফোনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি রুহুল আনিকে ফোনে ‘কাজ হয়ে যাবার’ ম্যাসেজ জানায়।
এ সময় রুহুল বলেন, ‘আমি জানি। তোমরা সরে যাও।’ নির্দেশ পাওয়ার পর আরো দুই একদিন তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।
এর পর নুরু ময়মনসিংহের ভালুকা ও শামীম মুক্তাগাছায় চলে যায়। একই সঙ্গে শুরু হয় একে আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা। এটি সমন্বয় করেন ওসি মোয়াজ্জেম ও রুহুল।
কালের আলো/এমএইচএ