আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জয়ে শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার
প্রকাশিতঃ 11:08 pm | February 21, 2025

ক্রীড়া ডেস্ক, কালের আলো:
উইকেট নেওয়ার পর সতীর্থ মার্করামের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন রাবাদা (ডানে)। ছবি : এএফপি
জিততে হলে রেকর্ড রান করতে হতো আফগানিস্তানকে। মোহাম্মদ নবী-রশিদ খানদের জন্য ৩১৬ রান তাড়া করাটা যে কঠিন ম্যাচ শেষে সেটি প্রমাণিতও হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আজ ১০৭ রানে হেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু করেছে আফগানরা।
আফগানদের পরাজয়টা আরো বড় হতে পারত।
তা হতে দেননি রহমত শাহ। করাচিতে ‘নিঃসঙ্গ শেরপার’ মতো লড়াই করে গেছেন আফগান ব্যাটার। প্রতিকূল পরিবেশে দাঁড়িয়ে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়েছেন তিনি। আরেকটু সময় সতীর্থদের সঙ্গ পেলেও ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটা পেতে পারতেন তিনি।
রহমত চারে নেমে খেলেছেন ৯০ রানের ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ চার ও ১ ছক্কায়। ব্যাটিং নেমে অন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে একের পর এক সতীর্থের আসা-যাওয়া দেখেন তিনি। তিনি ছাড়া আফগানদের আরো ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেও কেউ ২০ রান করতে পারেনি।
যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান।
ইনিংসের শুরু থেকেই আফগান ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোড়াতে থাকেন কাগিসো রাবাদা-লুঙ্গি এনগিডিরা। রহমতউল্লাহ গুরবাজকে (১০) আউট করে শুরুটা দুই উইকেট নেওয়া লুঙ্গি করলেও আফগানদের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন রাবাদা। প্রতিপক্ষের দলীয় স্কোর ৮৯ রান পার হতে না হতেই ৫ ব্যাটার ড্রেসিংরুমে ফেরেন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রাবাদা।
তার সঙ্গে পরে উইকেট উদযাপনে যোগ দেন অন্যরা।
লুঙ্গির মতোই ২ উইকেট নেন উইয়ান মুল্ডারও। আর ইনিংসে বল করা বাকি দুই বোলার মার্কো ইয়ানসেন ও কেশব মহারাজ নেন একটি করে। এতে ৪৩.৩ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হতে বাধ্য হয় আফগানিস্তান।
এর আগে রায়ান রিকেলটনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৩১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় সংগ্রহে অবশ্য কম অবদান ছিল না তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা টেম্বা বাভুমা (৫৮), রাসি ফন ডার ডুসেন (৫২) ও এইডেন মার্করামের (৫২*)। ১০৩ রান ও ২ ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিকেলটন।
কালের আলো/এসএকে