আগুনের ভিডিও সরবরাহকারীকে ওয়াহেদ ম্যানসন মালিকের হুমকি

প্রকাশিতঃ 2:48 pm | March 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকা-ে ৭০ জন নিহত হওয়ার শোক এখনো কাটেনি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়ে এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে।

এ ঘটনায় আসিফ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার দায়েরকৃত মামলায় এরই মধ্যে ৩ সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন যে ভবনের রাসায়নিকের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত চুড়িহাট্টার সেই ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক মো. হাসান ও সোহেল ওরফে শহীদ। আর জামিনে বেরিয়েই হাসান চুড়িহাট্টার আরেক ভবন মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন চুড়িহাট্টার ৬৫/৬৬ নম্বর ভবনের মালিক মো. আজম। স্থানীয়রা জানান, মো. আজমের মালিকানাধীন ভবনটি ওয়াহেদ ম্যানশনের ঠিক পাশেই অবস্থিত।

ঘটনার সময় ওই ভবনের নিচতলায় থাকা রাজমহল হোটেলের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে যে, ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলায় বিস্ফোরণের পরই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে যা বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করে। আগুনের ঘটনায় বিভিন্ন সংস্থার গঠিত তদন্ত কমিটিও যা গুরুত্ব সহকারে নেয়। মূলত এই ফুটেজ কেন প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে গেল তা নিয়েই হাসান তাকে হুমকি দিয়েছেন বলে দাবি করেন মো. আজম।

আজম জানান, গত ২০ মার্চ ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাসান তার মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ সময় তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। কী কারণে এ হুমকি জানতে চাইলে হাসান বলেন, তোর হোটেলের সিসি টিভির ফুটেজ থেকেই সবাই আগুনের ভিডিও পাইছে। এই ফুটেজ দেখেই সবাই বুঝছে, আগুন ওয়াহেদ ম্যানশন থেকেই লেগেছে। তা না হলে গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই যে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল তা প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। এর জেরে হাসান ভবিষ্যতে তার বড় ধরনের কোনো ক্ষতি করতে পারে আশঙ্কাতে তিনি থানায় জিডি করেছেন।

তবে চকবাজার থানার ওসি শামীমুর রশীদ তালুকদার বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাসান কাউকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। এ নিয়ে থানায় কোনো জিডিও হয়নি। এ বিষয়ে জানতে গতকাল মো. হাসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

কালের আলো/এমএইচএ