চকবাজারে আগুন, সময় যাচ্ছে লাশের সংখ্যা বাড়ছে
প্রকাশিতঃ 6:15 am | February 21, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সময় যতই যাচ্ছে লাশের সংখ্যাও বাড়ছে।আগুন নিয়ন্তনে আসার পর থেকেই চলছে লাশের সন্ধান। একের পর এক ব্যাগ ভর্তি করে লাভ বের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যাগ ভর্তি করে ৪৫টি মৃতদেহ বের করা হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা ভবনের ভেতরে আরও হচ্ছে আরও একাধিক ব্যাগ আছে।
রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনে বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও এখনও বিভিন্ন জয়গায় আগুন জ্বলছে। নিয়ন্তনে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আরো পড়ুন:
আগুন নিয়ন্ত্রন ও উদ্ধারে বিমানবাহিনী
ভবনটির ছাদেও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্ট্রেচারে করে ব্যাগ ভর্তি করে একের পর এক লাশ বের করে নিয়ে আসছেন। অর্ধশতাধিক ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে ভর্তি। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। প্রাথমিক ধারণা গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।
আরো পড়ুন:
চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, চলছে লাশের খোঁজ
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা সাত আসনের সংসদ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। নগরবাসী, দেশবাসী সবার দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো আগুন নিয়ন্তনে নিয়ে আসা। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। আগুন নিয়ন্তনে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব।
আরো পড়ুন:
চকবাজারের আগুনে ৪৫ মরদেহ উদ্ধার : ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৭টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকীর্ণ আমাদের পানির সংকট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
আরো পড়ুন:
আগুন নিয়ন্ত্রন ও উদ্ধারে বিমানবাহিনী
আগুনের সুত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ