আধুনিকায়নে দেশের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী
প্রকাশিতঃ 12:57 pm | February 07, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে গেছেন। আমরা এরই আলোকে যুগোপযোগী প্রতিরক্ষা নীতিমালা করছি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করছি।
দেশের সাথে সেনাবাহিনীও এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীও। আমরা আমাদের উন্নয়নের কার্যক্রমের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে ডিফেন্স কলেজেরও আধুনিকায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ডিএসসিএসসি-২০১৮-২০১৯ কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় দুর্নীতি ও দুর্যোগের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি।

‘মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১ হাজার ৭৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হযেছি। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়।’
তিনি বলেন, রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষও যাতে নাগরিক সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেকেই যখন সেতু নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়ায়, তখন আমরা বলেছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করবো। এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন জেনেছে আমরাও পারি।’

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অন্যান্য জেলার এবং সামগ্রিকভাবে পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে এ কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচিত অফিসারদের কমান্ড ও ষ্টাফ পর্যায়ে আগত দিনের কঠোর দায়িত্ব পালনে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম ।

এ পর্যন্ত এ কলেজ থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৩৯০২ জন অফিসার, ০৫ জন পুলিশ অফিসার এবং ৪২টি বন্ধুপ্রতীম দেশের ১১১১ জন বিদেশী অফিসার কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মন্ত্রীবর্গ, ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ সামছুল হক, ওএসপি, পিএসসি, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এ্যাডমিরাল এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, এনবিপি, ওএসপি, বিসিজিএম, এনডিসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও, আমন্ত্রিত সিনিয়র সচিব ও সচিব মহোদয়গণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনীর পিএসওগণ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদগণ; ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল ও মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগণ, কোর্সে অংশগ্রহণকারী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাগণ, উচ্চপদসহ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এনএল/এমএইচএ