জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করবে সরকার, কার্যকর পহেলা বৈশাখ থেকেই

প্রকাশিতঃ 4:44 pm | March 31, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সরকার জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একইসঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচও নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া এসব পরিকল্পনা আগামী ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল— এসব থেকে বের হয়ে জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করা হবে। একইসঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণে মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি হয়েছে। এজন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেব। পহেলা বৈশাখ থেকে তা কার্যকর হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবার সহযোগিতায়, বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি, আগামী ঈদ পর্যন্ত এটা অব্যাহত রাখতে পারব। কিছু প্রতিকূলতা আছে, যেটা সম্পর্কে আপনারা অবহিত আছেন। পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ, এটি নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন সংস্থাসহ এটা নিয়ে সক্রিয় আছি। আগামী বাজেটের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি, সেটা নিয়ে একটি পরিকল্পনা থাকলে সুবিধা হয়।’

‘কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণ সাপ্লাই চেইনে আছে। চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্য নেই। মিল মালিকরা এ নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাজার পর্যায়ে কৃষিপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে,’— যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

চিনি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আজ প্রথম ট্রেনে এক হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। যা খোলা বাজারে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হবে। আর চিনি বাজারে যথেষ্ট আছে। উৎপাদকরা মনে করছেন না এই মুহূর্তে চিনি আনতে হবে। তাই চিনি আমদানিতে আগ্রহ নেই।’

বাজার নিয়ন্ত্রণে নিজের সফলতা তুলে ধরতে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম গেল এক বছরে ২৫ শতাংশ বাড়লেও আমাদের লোকাল বাজারে চার শতাংশের বেশি বাড়েনি। একইসঙ্গে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পামওয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সহাযোগিতায় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও আমাদের বাজার স্থিতিশীল আছে। ১৬৩ টাকায় এক লিটার ও ১৪৯ টাকায় খোলা বাজারের তেল বিক্রি করতে সামর্থ হয়েছি। সবজিনিসের দাম কমে গেছে।’

কালের আলো/ডিএস/এমএম