বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোন আশঙ্কা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:20 pm | December 20, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনও আশঙ্কা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা অনেক নিষেধাজ্ঞা দেয়। বড়লোকেরা অনেক নিষেধাজ্ঞা দেয়। এগুলো একদিকে আসে, অন্যদিকে চলে যায়। আমরা এগুলো নিয়ে মোটেই আতঙ্কিত নই।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, আমেরিকা যাদের ওপর চাপ দিতে চায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। মনে আছে না, মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো, আবার উঠিয়ে নিলো।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো এবং এ বছর ১৬টি বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। আমাদের সম্পর্ক ভালো বলেই তারা আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। এটি ভালো। আমাদের আতঙ্কের কারণ নেই।

ভ্রমণ সতর্কতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি তাদের দায়িত্ব। যদি তাদের লোক এখানে আসে এবং আহত হয়, তাহলে দূতাবাসের দায়িত্ব নিতে হয় না। এটি ভুল নয়।

বিএনপির রূপরেখা ভাঁওতাবাজি
বিএনপির ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই নাকি এসবের (গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) বিচার করবে। এটা একটা ভাঁওতাবাজি।

‘২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এতই সন্ত্রাস যে আদালতের জজ সাহেবও শান্তিতে থাকতে পারেননি। বিদেশি (ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত) এ লোক সিলেটে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানেও তার ওপর বোমাবাজি হয়। এক দিনে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয়। অনেক নামিদামি লোকের ওপর হামলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, মাইনরিটি গ্রুপের বারোটা বেজেছে, তারা আতঙ্কে ছিল। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চিহ্নিত হলো। আর সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের কারণে আমাদের বহু নেতারা মারা গেলেন। তখন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী একটা সভা করলেন। সেখানে গ্রেনেড হামলা হলো। ক্লিন হার্টের গল্প জানেন? ৫৫ জন লোককে মারা হয়েছিল। যুক্তি দেওয়া হয় তারা হার্টফেল করে মারা গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য লোককে গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এসব ঘটনা অমানবিক। আবার তারা মানবিকতার কথা বলে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে। বাস কোম্পানিগুলো রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এখানে সরকার কিছু বলেনি। বাস মালিকরা ভয়ে ছিলেন যদি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লোকজন ভয়ে রাস্তায় গাড়ি বের করেনি। কারণ বিএনপির কথায় জনগণ বিশ্বাস করে না।

কালের আলো/ডিএস/এমএইচএ