জনগণ পাশে থাকলে কিছুই আর অসাধ্য থাকে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:12 pm | October 29, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সমাজে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, বাল্য বিবাহ-ইভটিজিং অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজনজন্মকে আমরা বাঁচাতে পারবো না। এখন সেখানে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা যখন কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছি, তখন প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের জনতাকে আহ্বান করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। সে সময় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। সে সময় আমরা অভূতপূর্ব সফলতা দেখেছিলাম, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যার যার জায়গা থেকে জঙ্গির বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। জনগণ যখন পাশে থাকে কোনকিছুই আর অসাধ্য থাকে না।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডিএমপির বিদায়ী কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম, মূখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আরেফিন সিদ্দিক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আগে গ্রামে একটা বিচার ছিল, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের লক্ষ্যটাও ঠিক ওরকমই। আমরা নিজেরা যদি নিজের সমস্যাটুকু সমাধান করতে পারি ক্রাইম অনেকটা কমে যাবে। আর পুলিশ তো সবসময়ই রয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হলো সমাজকে সহযোগিতা করা। যাতে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে জানিয়ে দেওয়া যায়, যাতে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সমাজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এখানে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।

করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যুব সমাজের কাজ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সে সময় কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছিল মোড়ে মোড়ে। সেটার একটা কুপ্রভাব এখনও রয়েছে। সেখানেও আমাদের কাজ করতে হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হলো সমাজে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই অপরাধীকে চিহ্নিত করা, অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। আমরা এক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের ফলে সমাজে বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং অনেক কমেছে। এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা যখন কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছিলাম, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের জনগণকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছিলেন। তখন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যার যার জায়গা থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সে সময় আমরা অভূতপূর্ব সফলতা দেখেছিলাম। জনগণ যখন পাশে থাকে কোন কিছুই আর অসাধ্য থাকে না।

তিনি বলেন, ‘আগে গ্রামে একটা বিচার ছিল, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের লক্ষ্যটাও ঠিক ওই রকমই। আমরা নিজেরা যদি নিজের সমস্যাটুকু সমাধান করতে পারি ক্রাইম অনেকটা কমে যাবে। আর পুলিশতো সবসময়ই রয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হলো সমাজকে সহযোগিতা করা। যাতে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগে জানিয়ে দেওয়া যায়, যাতে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সমাজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এখানে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।’

ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এবং মিরপুর মডেল থানার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি দেওয়ান আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসবি/এমএম