চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসারে গ্রাজুয়েটদের মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 8:25 pm | July 24, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসার ও বাস্তবায়নে গ্রাজুয়েটদের মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। বিদ্যায়তনিক যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার আধুনিকায়নে গ্রাজুয়েটদের অংশগ্রহণ করতে হবে।
রবিবার (২৪ জুলাই) উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিত চন্দ।
ডা. দীপু মনি বলেন, মাদক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন থেকে নিজেদের দূরে রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেন আপনাদের হৃদয় ও মনকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতা আমাদের জীবনকে প্রায়শই কলুষিত করে। আমাদের ব্যথিত ও পীড়িত করে।
তিনি বলেন, আমাদের গৌরবকে কালিমালিপ্ত করে। আমরা সাম্প্রদায়িকতাকে দূর করে দিতে চাই। বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, লাখ লাখ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতা যেন আবার ফণা তুলতে না পারে। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে আমরা যেন বৈষম্য না করি, বৈষম্য যেন দূর করতে পারি। নারী নির্যাতনকারীদের যে পরিচয়ই থাকুক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় অবশ্যই আনা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা যেমন পরিত্যাজ্য, সাম্প্রদায়িকতাকে যেমন প্রতিহত করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতনকেও প্রতিহত করতে হবে। কোনও ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নারী নির্যাতন বা সাম্প্রদায়িকতার মতো অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করলে, শেখ হাসিনার সরকার সেটি হতে দেবে না।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এখন যেভাবে বিন্যাস্ত আছে তাতে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, এখন মডিউলার এডুকেশনের সময় যাচ্ছে। পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার্থীদের নতুন দীক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। মডিউলার এডুকেশনের সঙ্গে সঙ্গে বেল্ডেড এডুকেশনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, কাজের জায়গা থেকে নিজেকে আপস্কিল করবেন, রিস্কিল করবেন। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে উচ্চ শিক্ষাকে পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র, তাই সেখানে গবেষণার কোনও বিকল্প নেই।
কালের আলো/বিএস/এমএম