নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

ঢাকা সিএমএইচে কিডনী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল জহিরুল হক এর কিডনী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তার ফুপাতো ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ তাকে কিডনী দান করেন ।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর কিডনী ডিজিস এন্ড ইউরোলজী ঢাকার স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল হাসান এর তত্ত্বাবধানে সিএমএইচ ঢাকার নেফ্রোলজি ও ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম কিডনী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক, কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল, কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল, কমান্ড্যান্ট সিএমএইচ ঢাকা, চীফ ফিজিশিয়ান জেনারেল এবং চীফ সার্জন জেনারেল।

আইএসপিআর আরও জানায়, অন্তিম পর্যায়ে কিডনী রোগ (End Stage Kidney Disease) একটি জটিল দূরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী প্রতিস্থাপন ( Kidney Transplant) করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতি বৎসর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার এই ধরনের রোগী সংযুক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতেও এই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সকল রোগীর ৮০ শতাংশেরও বেশী যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছেন।

এছাড়া কিডনী প্রতিস্থাপনই হচ্ছে কিডনী অকেজো রোগীর সর্বত্তোম চিকিৎসা। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৮টি সেন্টারের মাধ্যমে কিডনী প্রতিস্থাপন করা হয় যা বিপুল সংখ্যক রোগীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এ প্রেক্ষিতে আপামর জনসাধারনের দোরগোরায় স্বাস্থ্য সেবাকে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় সিএমএইচ ঢাকায় একটি কিডনী প্রতিস্থাপন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানায় আইএসপিআর।

প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে দেশে প্রথম কিডনী প্রতিস্থাপন ঢাকা সিএমএইচে শুরু হয় এবং এ কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল