সচিব ও সচিবের পিএস পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

প্রকাশিতঃ 10:34 pm | August 05, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

সচিব ও সচিবের পিএস পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি ওয়ারী অপরাধ টিম তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইদ্রিস খান (৫৮), শাহাব উদ্দিন হাওলাদার (৪৩) শহিদুল ইসলাম (৫৬) ও জাহিদ সিকদার (৩০)।

মাহবুব আলম বলেন, চক্রটির বিরুদ্ধে প্রতারণার ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কদমতলী থানায় মামলা করেন। আসামিদের প্রতারণার কৌশল অত্যন্ত অভিনব। তারা অর্থবিত্ত ও সম্পদশালীদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। বিপুল পরিমাণ টাকা জালিয়াতি বা প্রতারণা করেন আসামিরা। বড় অংকের টাকার প্রতারণাকে আমরা বলি রয়েল চিট।

তিনি বলেন, এই চক্রের প্রধান ইদ্রিস। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

চক্রটির প্রতারণার বিষয়ে ডিবি যুগ্ম কমিশনার বলেন, তাদের মধ্য থেকেই একজন আইটি সচিব পরিচয় দেন। অন্য আরেকজন তার (সচিবের) পিএস, অপরজন দালাল। দালাল সাধারণত জমি কেনাবেচার লোক নিয়ে আসেন। প্রতারক চক্রের সদস্য সচিব সাজিয়ে এমন একটা নাটক করেন ভুক্তভোগীদের সামনে যে, সচিবের কাছে টাকা কোনো বিষয় না। জমির দাম তাদের কাছে বলে এক কোটি টাকা। সচিব জমির বায়না করেছেন ২০ লাখ টাকা বলে জানায় মক্কেলদের। তখন প্রতারক চক্রের সদস্যরা মক্কেলদের বুঝান আপনারা এই জমি বায়না করে ফেলেন ২০ লাখ টাকা দিয়ে। এই জমি থেকে আপনারা লাভ করতে পারবেন। মক্কেল ও ক্রেতাদের লোভ দেখিয়ে বায়নার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেন চক্রের সদস্যরা।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবারের মামলাসহ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হবে। আমাদের জানামতে তারা এরকম প্রতারণার শতাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনেক মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশের কাছে আসছেন না। সংবাদ সম্মেলনের মূল কারণ হচ্ছে আসামিদের চিনে রাখলে ভবিষ্যতে এমন প্রতারণা শিকার হবেন না সাধারণ মানুষ।

গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার বলেন, এই চক্রটি চালিয়ে থাকেন মাদারীপুরের কালকিনি থানার একটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল। আসামি শাহাব উদ্দিনের বড় ভাই তিনি। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। ডিবি এই সাবেক চেয়ারম্যানকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও কিছু চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।

কালের আলো/আরএস/এমএইচএস