সুসংবাদ দিলেন আইজিপি : গুজব ঠেকাতে নতুন ইউনিট

প্রকাশিতঃ 7:28 pm | September 29, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘গুজব’ ছড়ানো। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে অভিনেত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই এই কাজটি করেছিলেন। সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে সক্রিয় রয়েছে একটি মহল।

ফলে আগেভাগেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে পুলিশের শীর্ষ নেতৃত্ব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ঠেকাতে পুলিশের নতুন একটি ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে দেশবাসীকে সুসংবাদ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। তিনি বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেলেই এই ইউনিট আলোর মুখ দেখবে।

শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরার এপিবিএন মাঠে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ (আইজিপি কাপ) ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:
পুলিশ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হলো ডিএমপি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব ঠেকাতে সামগ্রিকভাবে নতুন একটি ইউনিট প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের জনবল রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা তাদের প্রস্তুত করতে কাজ করছি। সব কৌশল ও পর্যাবেক্ষণের জন্য জনবলকে বিদেশে ট্রেনিংয়ে পাঠাচ্ছি।’

গুজব ও সাইবার অপরাধের জন্য পুলিশ সদর দফতরে একটি সমন্বয় সেল গঠন করা হয়েছে জানিয়ে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এসব অপরাধগুলোর মামলা যাতে সব সময় মনিটর করা যায় সেজন্য একটি সমন্বয় সেল করেছি। যেটা সব ইউনিটের কর্মকাণ্ডগুলো মনিটর করবে এবং আমাদেরকে অবহিত করবে। যাতে কেউই কোন অবস্থাতে গুজব ছড়িয়ে কোন একটি বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে।

উদাহরণ দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে গার্মেন্টস সেক্টরে গুজব ছড়ানো হয়েছিল দুই-তিনজন মারা গেছে, দুজন নিখোঁজ রয়েছে। ফলে সাধারণ লোকজন না বুঝেই গুজবে কান দিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ জন্য আমরা সর্তক রয়েছি যাতে ভবিষ্যতে কেউ গুজব ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে।’

সাইবার ক্রাইম বিশ্বব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রস্তুত করছি, সাইবার ক্রাইম যাতে সঠিকভাবে মনিটর করতে পারি। ক্রাইমটা খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না, তাই সবার কাছেই এটা বড় চ্যালেঞ্জ।’

কালের আলো/এসআর/এএ

Print Friendly, PDF & Email