লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২২

প্রকাশিতঃ 9:39 pm | September 28, 2018

কালের আলো স্পোর্টস:

এশিয়া কাপের ফাইনালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। চমক দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটস দাস ওপেনিং এ নেমে স্কোরবোর্ডে ১২০ রান তুলেন। কিন্তু পরক্ষনেই আবার সেই বাংলাদেশ, ১২০ থেকে ১৫১ রানের মাঝেই পড়ে গেল ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২২২ রানেই অলআউট টাইগাররা।

১১৭ বলে ১২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১২১ রান করা লিটন যখন হাত খুলে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। ফাঁদে পড়েন বললে অবশ্য ঠিক হবে না, তাকে ফাঁদে ফেলা হয়। কুলদ্বীপ যাদবের বলটি মিস করলেও পা দাগের মধ্যে নিয়ে নিয়েছিলেন লিটন। কয়েকবার জুম করে দেখার পর তাকে আউট দিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার রড টাকার।

ওই আউটের পরই বলতে গেলে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন ভেঙে গেছে বাংলাদেশের। মাশরাফি বিন মর্তুজা ১ ছক্কায় ৭ রান করে আরেকটি স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। শেষদিকে সৌম্য লড়াই চালানোর চেষ্টা করলেও লক্ষ্যটা খুব বড় করতে পারেনি টাইগাররা। ৪৫ বলে ৩৩ করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।

এর আগে মেকশিপ্ট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর লিটন দাসের ব্যাটে রীতিমত উড়ন্ত সূচনা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ১২০ রান।

মিরাজ শুধু সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন। লিটন খেলেছেন ঝড়ো গতিতে। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন কেদর যাদব। তাকে তুলে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন মিরাজ। ৫৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৩২ রান।

এর পরপরই আরও একটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলটি ইমরুল কায়েসের প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ইমরুল রিভিউ নিয়েছিলেন, বলও দেখা যায় বাইরে পিচ করে স্ট্যাম্পে আঘাত হেনেছে। কিন্তু আম্পায়ারের কল হওয়ায় ২ রান নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় ইমরুলকে।

দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীমও বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৫ রান করে তিনি উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন যাদবকে। ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন বুমরাহর হাতে। এরপর দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার মোহাম্মদ মিঠুন (২)। ৪ রান করে বোকার মতো বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহও।

সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝে একটা প্রান্ত আগলে ছিলেন লিটন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তিনি তুলে নেন ৮৭ বলে। লড়ে যাচ্ছিলেন, বিতর্কিত আউটে থেমেছে তার লড়াই।

ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন কুলদ্বীপ যাদব। ৪৫ রানে ৩টি উইকেট নেন তিনি। ২টি উইকেট নেন কেদর যাদব।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email