রাজধানীতেও হেলমেট ছাড়া মিলবে না তেল

প্রকাশিতঃ 6:33 pm | September 04, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
রংপুরের পর রাজধানী ঢাকাতেও হেলমেট ছাড়া মিলবে না তেল। পাম্পগুলোকে এ নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, আমরা বাস থামানোর জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করেছি। এগুলোতে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খুলবে না, বন্ধ থাকবে। যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না।

মঙ্গলবার(৪ সেপ্টেম্ব) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা হেলমেট না থাকলে তেল না সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কমিশনার বলেন, সড়কে যাত্রীরা যত্রযত্র দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না। তাদের শুধুমাত্র জেব্রা ক্রসিং কিংবা বাস স্টপেজে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বাসের সামনে চালকের ছবি ও ফোন নম্বর থাকতে হবে। বাসচালক সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাবেন। চুক্তিভিত্তিক নয়, বাসের ড্রাইভার হবে বেতনভুক্ত।

তিনি আরও বলেন, এ মাসেই জাহাঙ্গীরগেট থেকে জিরো পয়েন্ট রুটে অটো ট্রাফিকিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের মাধ্যমে এ সড়কের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এটি আমরা মডেল প্রজেক্ট হিসেবে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রুটেও এ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, যানবাহনে অবৈধভাবে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড লাগিয়ে আইন লঙ্ঘন করা যাবে না। অনুনোমোদিত কোনো ব্যক্তি ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সাইডে চেকপোস্ট করে আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহর রিকশার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আমরা দেখেছি, বাইরের অনেক রিকশা ঢাকায় চলাচল করছে। এগুলো পেলে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হবে। ঢাকার মূল সড়কে কোনো লেগুনা চলাচলের কথা নয়। আমরা কোনোভাবেই ঢাকা মহানগরের মূল সড়ক দিয়ে লেগুনা চলাচল করতে দেব না।

ফুটপাতের অবৈধ দোকান বসানোর কারণে পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ বিষয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আপনার তথ্য সঠিক। দোকানের কারণে পথচারীরা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারেন না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনকে বলা হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে বড় বড় স্কুলে ক্লাস শুরু ও ছুটির সময় আমরা স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেব। তারা সেখানকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবেন। এছাড়া স্কুলের সিনিয়ররা ছোটদের রাস্তা পারাপারে সহায়তা করবে।

সেপ্টেম্বরকে ট্রাফিক মাস ঘোষণার বিষয়ে কমিশনার বলেন, আইন না মানার প্রবণতা জনগণের সবচেয়ে বড় সমস্যা।সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতনতা তৈরির জন্য ট্রাফিক মাস ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হয়। পুলিশের এ উদ্যোগে সহায়তা করবে রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্স সোসাইটি।

তিনি আরও বলেন, সড়কে অব্যবস্থাপনার অন্যতম কারণ সড়কের দুরবস্থা। এ পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি। ঢাকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি গাড়ি চলছে, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং হচ্ছে। এছাড়া যানজটের জন্য ইউটিলিটি ও এমআরটির মতো উন্নয়নকাজে সড়কে খোঁড়াখুঁড়িও দায়ী।

কালের আলো/জা/এমএইচ

Print Friendly, PDF & Email