প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ১৯ লাখ আবেদন

প্রকাশিতঃ 11:13 pm | September 02, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো :

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে এবার। ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিপরীতে প্রায় ১৯ লাখ আবেদন জমা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

দেশের ৬৩ জেলার সরকারি বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিপিই। এর পর গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ আবেদন জমা পড়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে, চাকরিবিধি অনুযায়ী আবেদনের ক্ষেত্রে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এতে পুরুষদের জন্য স্নাতক বা সমমানের দ্বিতীয়/বিভাগ বা শ্রেণিতে পাস থাকতে হবে। আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয়/বিভাগ/সমমানে পাস হতে হবে বলে বলা হয়।

জানাযায়, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে রাজস্বখাতভুক্ত আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস রাখা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে।

ডিপিই মহাপরিচালক আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলে।

১২ হাজার সরকারী শিক্ষক নেয়া হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেকের আগ্রহ থাকায় সারা দেশে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ আবেদন জমা পড়ে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ শেষ করা হবে। ডিপিই ওয়েবসাইটে dpe.teletalk.com.bd প্রবেশপত্র ও যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email