‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কন্যা বদ্ধপরিকর’

প্রকাশিতঃ 9:01 pm | August 15, 2018

:: আল-আমিন ::

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের জন্য এমন একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে দেশের প্রতিটি জনগণ সুখ-শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে জীবন-যাপন করতে পারবেন। তার স্বপ্নের এই বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল ও গনতন্ত্রিক মূলবোধ ও নীতির জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রসংশনীয় ও সম্মানিত হতে পারতো।

কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য তার এই স্বপ্নটি তিনি পূরণ করতে পারেনি। ১৫ ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালের কালো রাতে মানুষরূপি হায়েনার দল তাকে এবং তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনা তার পিতা ও পরিবারের খুনিদের বিচারের দাবিতে সবসময় ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা লাভ করার পর জাতির জনকের স্ব-স্বীকৃত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবিতে দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ ও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া শেখ হাসিনা মানবাধিকার ও মর্যদাকে শ্রদ্ধার সাথে বিদেশে জাতির জনকের স্ব-স্বীকৃত খুনিদেরকে আশ্রয় গ্রহণকারী দেশ থেকে বিচারের জন্য বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য সহয়তা কামনা করেন এবং এজন্য তিনি উদ্যোগও গ্রহণ করেন।

৭৫ এর এই নৃশংস ঘটনা বাংলাদেশর গণতন্ত্রকে হত্যা করার সামিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ২১ টি বছর ধরে কঠিন সংগ্রাম পাড়ি দিয়ে ১৯৯৬ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা লাভ করেন।

শেখ হাসিনার কাছে, দেশ ও জনগণের জন্য জাতির জনক ছিলেন এক মহান নেতা এবং তার ছিলো মহৎ স্বপ্ন ও দূরদৃষ্টি। জাতির জনকের মৃত্যুর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক বাঁধা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেও শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। পিতার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার পবিত্র দায়িত্ব যে শেখ হাসিনার উপর অর্পিত হয়েছে।

কারণ, জাতির জনকের সুখী ও সমৃদ্ধ “সোনার বাংলা” প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সবসময় ছিলেন বদ্ধপরিকর।

লেখকঃ সাংগঠনিক সম্পাদক, তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email