চুমুর ছবি তোলা সেই আলোকচিত্রীকে মারধর করলেন সহকর্মীরা!

প্রকাশিতঃ 7:53 pm | July 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় বৃষ্টিভেজা একটি যুগলের চুমুর ছবি তুলে আলোচনায় আসা আলোকচিত্রশিল্পী জীবন আহমেদকে মারধর করেছেন তারই সহকর্মীরা। সেই ছবি তোলার কারণে সহকর্মীদের হাতেই মারধরের শিকার হয়েছেন এই আলোকচিত্রশিল্পী এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার দিনব্যাপী ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ছিল। সাম্প্রতিককালের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে ভাইরাল ছিল ছবিটি। এমনকী মঙ্গলবারও সেই আলোচনা সমান তালে চলছিল।

গত সোমবার জীবন আহমেদের তোলা আলোকচিত্রটি প্রথমে তার নিজস্ব কর্মরত অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। এরপর তার ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের মারধরের ঘটনায় জীবন আহমেদ আজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ থেকে সাংবাদিকতা থেকে বিদায় নিলাম।”

তবে জীবন পরে অপর স্টাটাসে লিখেছেন, “ফেসবুক আইডি হ্যাক হবার ২ ঘন্টা পর ফেরত পেলাম।
নিচের এই ষ্ট্যাটাস আমার দেয়া না। কেও বিভ্রান্ত হবেন না। আমার আইডি থেকে বেশ কিছু পোষ্ট ও গায়েব দেখছি। ধন্যবাদ আমার আইটি স্পেশালিষ্ট বন্ধুকে আইডি ফেরত পেতে সহযোগীতা করবার জন্য।”

জানা গেছে, টিএসসির যে স্থানে ছবিটি তোলা হয়েছে সেখানেই তাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে জীবন আহমেদকে। লাঞ্ছনাকারীরা সকলেই আলোকচিত্রশিল্পী বলে জানা গেছে। একটি ইংরেজি দৈনিকের এক আলোকচিত্র সাংবাদিকেরও নাম যুক্ত রয়েছে এই ঘটনায়।

জীবন আহমেদের সহকর্মী মাকসুদুল হক ইমু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ জীবন আহমেদকে মারধর করা হয়েছে। যারা মেরেছে তারাও একই পেশার সাথে যুক্ত। মূলত জীবনের কাছে তারা সিরিজ ছবিগুলো চেয়ে না পেয়ে মারধর করে। জীবনকে মারধরের সময় তাকে বলা হয়েছে এই পেশাকে নাকি জীবন কলঙ্কিত করেছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় আলোকচিত্রশিল্পী জীবন আহমেদ বলেন, “আমি কার বিরুদ্ধে কথা বলবো? তিনি বলেন, আমার পেশার লোকেরাই আমাকে মেরেছে। আমি কিছু বলতাম না তারা যদি আমাকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে মারধর করতো। কিন্তু তারা আমাকে মেরেছে প্রকাশ্যে টিএসসিতে।”

জীবন আহমেদ বলেন, “আমাকে মারার সময় তারা আমাকে বলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নির্দেশে মারছে। আমি নাকি কলঙ্কিত করেছি আলোকচিত্রশিল্পী সমাজকে। কিন্তু প্রক্টর স্যার একটু আগে ফোন দিয়ে বললেন, এরকম নির্দেশনা তিনি দেননি দিতে পারেন না। আমিও জানি তারা গায়ের ঝাল মিটিয়েছে।”

কালের আলো/এআর

Print Friendly, PDF & Email