ভালোবেসে পাকিস্তানি তরুণকে অনলাইনে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি তরুণী
প্রকাশিতঃ 9:27 am | May 23, 2020

কালের আলো সংবাদদাতাঃ
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের জয়পুরহাটের মেয়ে মুরসালিন সাবরিনা ও পাকিস্তানের ছেলে মুহাম্মদ উম বিয়ে করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকাল ৫টায় জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার কনের বাড়িতে অনলাইনে বিয়ে পড়ানো হয়। অনলাইনে বিয়ে পড়ান মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় অনলাইনে সাবরিনার কবুল পড়া শোনানো হয় বর উমের এবং তার বাবা বিলাল আহম্মেদকে। একইভাবে অনলাইনে ইঞ্জিনিয়ার উমের তার প্রেমিকা সাবরিনাকে স্ত্রী হিসেবে কবুল করেন।
কনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোজাফ্ফর হোসেনের মেয়ে সাবরিনা ২০১৮ সাল থেকে আমেরিকান অনলাইন ইউনিভার্সিটি অব দ্যপিপলস-এ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন। একই ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ উমেরও পড়াশোনা করছেন।
ওই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘ইয়েমার’ এর মাধ্যমে দুজনের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়েওঠে। তারা দুজন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৯ সালে উভয়ের পরিবার কথাটি জানতে পারে। প্রথমে মুরসালিন সাবরিনার পরিবার সম্মতি দেয়নি। পরে ছেলের পারিবারিক অবস্থা খোঁজখবর নিয়ে মোজাফফর হোসেন মেয়েকে মুহাম্মদ উমের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। মুহাম্মদ উমেরের পরিবারও তাতে রাজি হয়।
গত মার্চ মাসে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। উম ও তার পরিবারের কয়েক জন সদস্য বাংলাদেশে কনে বাড়িতে এসে বিয়েপড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধে করোনাভাইরাস।
তবে করোনার এই দুর্যোগ মুহূর্তে পাকিস্তানি তরুণ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আসতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে অবশ্য আটকেথাকেনি। দুই পরিবারের সম্মতিতে অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রেমিকযুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বর মোহাম্মদ উমের বাবা বিল্লাল হোসেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি সবজি ও ফলমূল ব্যবসায়ী।
সাবরিনার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মেয়ের সঙ্গে পাকিস্তানি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক প্রথমে মেনে নিতে চাইনি। কিন্তু পরে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে ভালো লেগেছে। তাদের পরিবার খুবই ভালো। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বিয়ে সম্পন্ন করেছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই জামাই ও তার পরিবার এসে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে নিয়ে যাবেন।
কালের আলো/এসএম/বিআর