ভিডিও কনফারেন্সে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কথা শোনতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:26 pm | April 20, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৮ জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎক, স্বাস্থ্যকর্মী, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা শেষ করে ময়মনসিংহ বিভাগে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: সিএমএসডি’র পরিচালককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ

পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন। জামালপুর জেলায় একজন জনপ্রতিনিধির বক্তব্য শোনে প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কথা শোনতে। এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই বললেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর কারও সঙ্গে আমার কথা হয়নি। এখানে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কথা শোনতে চাই।’

সোমবার (২০ এপ্রিল) প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী এই ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যুক্ত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হারুনের সঙ্গে। এ সময় এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা সেনাবাহিনীর সদস্যরা জামালপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছি।

আরও পড়ুন: ‘দুর্যোগে ভেঙে পড়া যাবে না, শিগগির সংকট কেটে যাবে’

আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) ৩১ দফার নির্দেশনাসহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশনায় ও আমার উর্ধ্বতন কমান্ডারের আদেশক্রমে আমরা চারটি পর্যায়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা জনগণকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন: চলতি মৌসুমে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য কিনবে সরকার

শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রশিক্ষিত মেডিকেল টিমের সাহায্যে আমাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আগত বিভিন্ন রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে প্রতি জেলার দায়িত্বে একজন করে সচিব

তিনি বলেন, ‘সেনা টহলের মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত গ্রামের দুস্থ ও গরিবদের মধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সীমিত আকারে ত্রাণ বিতরণ করছি। শহর থেকে গ্রামে টহল পরিচালনার মাধ্যমে জনগণকে ঘরে থাকার সুপারামর্শ দিচ্ছি। যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করছি। আপনার দিক নির্দেশনায় আমরা সব রকরেম দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত।’

জামালপুরের এই সেনা কর্মকর্তার বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘খুব ভালো। এভাবে আপনারা (সেনাবাহিনী) দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যাতে দেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকে।’

আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউসের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় তিন ঘন্টাব্যাপী এই ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ অনেক দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণের জন্য ৬৪ সচিবকে ৬৪ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড.খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমসি/আরআর

Print Friendly, PDF & Email